বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলার জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত এক সপ্তাহ গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরছি। বন্যায় এসব এলাকার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ সড়কগুলো বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে যানবাহন চলতে গেলেও উল্টে দুর্ঘটনা ঘটবে। জরাজীর্ণ সড়কে মানুষের চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

ফলে যে সব সড়ক সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো সংস্কার করতে হবে এবং যেগুলো বড় প্রকল্প, সেগুলো টেন্ডার আহ্বান করে দ্রুত কার্য সম্পাদন করতে হবে।

এরই মধ্যে এসব সড়কের পানি কমতে শুরু করেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলো পরির্দশনের জন্য বলেন।

নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রীকে আশ্বস্থ করে প্রকৌশলীরা বলেন, পানি কমলেই বৃষ্টি থামানো মাত্র সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। বড় কাজগুলো যত দ্রুতসম্ভব টেন্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন প্রকৌশলীরা।

দলীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন সওজ সিলেটের অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. শাহ নেওয়াজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী, নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম মহসিন, বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশলীবৃন্দ।

এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল আহাদ (কলা মিয়া), শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস দেওয়ান মকসুদুল ইসলাম আওয়াল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।