হামলা ও অব্যাহত হুমকীর কারণে বাড়িতে বাস করতে পারছেন না সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার দাড়িপাতন পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাহাদুর জালালীর পরিবার। তারা হামলাকারীদের ভয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন।

বৃহস্পতিবার জালালীর ছেলে মঞ্জুর আহমদ সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি তার পিতা জালালীর উপর হামলাকারীদের শাস্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন।

মঞ্জুর আহমদ জানান, তার পিতা একজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও বয়োবৃদ্ধ লোক। দাড়িপাতন পশিশ্চমপাড়া গ্রামে তাদের বসতবাড়ির জায়গা ও রাস্তার মালিকানা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে বিরোধ রয়েছে। অতীতে বাড়ির সামনের জনচলাচলের রাস্তা দিয়ে তার চাচা মো. আব্দুস সালামের লাশ পর্যন্ত নিতে দেয়নি প্রতিপক্ষের লোকজন। চলাচলের রাস্তাটি সংকীর্ণ করে দীর্ঘদিন ধরে তারা নানা উৎপাত করছে।

মঞ্জুর আহমদ লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার পিতা বাহাদুর জালালী প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসা যাওয়া করেন। প্রতিপক্ষ কুটু মিয়ার ছেলে জিতু মিয়া তার ভাই গোলাপগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আনা মিয়া ও নানু মিয়াসহ অন্যরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। গত ১৭ অক্টোবর গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার পিতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জিতু মিয়ারা। পরদিন ১৮ অক্টোবর সকালে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা গাড়ি আটকিয়ে তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে হামলা করে। দেশিয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

মঞ্জুর বলেন, হামলার ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ২২ অক্টোবর জিতু মিয়া, আনা মিয়া, নানু মিয়া, জিতু মিয়ার স্ত্রী জুলেখাকে আসামী করে গোলামগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং-১১ (১১)১৭) করি। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে আমার পিতা একই অভিযোগে গোলাপগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা (নং-৩২ (৮) ০৮ দায়ের করেন। এছাড়া মারপিটের অভিযোগে একই গ্রামের মসজিদের মোতাওয়াল্লি আব্দুল মোতালিবও তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা (নং ১৭ (১২)০৯) করেন। মামলার পর আনা, নানু ও জুলেখা জামিন লাভ করে। বর্তমানে জিতু মিয়া কারাগারে রয়েছে। মামলার আসামী ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আনা মিয়া ও তার লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সরকার দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আনা মিয়া মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ বুধবারও আসামীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকী দিয়ে আসে। এ অবস্থায় আমরা আমাদের বাড়ির ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছিনা। তাদের ভয়ে আমরা অন্যত্র বসবাস করছি।

মঞ্জুর আহমদ প্রশাসনের কাছে হামলাকারী দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বদরুল আহমদ, চাচাত ভাই আব্দুল আলিম, প্রতিবেশি আলতাফ হোসেন, রুমেছ আহমদ ও নুর উদ্দিন।