গোলাপগঞ্জে দিন দিন পরিবহণ শ্রমিক ধর্মঘটের চিত্র ভয়ানক আকার ধারন করছে। ৩য় দিনের অঘোষিত শ্রমিক ধর্মঘটেও ফাঁকা রয়েছে রাজপথ। একদিকে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন যাত্রী সাধারন। অন্যদিকে উপজেলার হাট-বাজারে দেখা দিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সংকটের। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে গোলাপগঞ্জে জনজীবন।

দেখা যায়, পরিবহন শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটে ৩য় দিনে দূরপাল্লার বা স্থানীয় কোন যানবাহন রাস্তায় বের হয়নি। সকাল থেকে শত শত সাধারণ যাত্রী চৌমুহনীতে গাড়ীর জন্য দাড়িয়ে থাকার দৃশ্য ছিল লক্ষণীয়। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা আটকা পড়লেও কিছুটা সুবিধার মধ্যে আছেন স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতকৃত যাত্রীরা। ৩ইয় দিনের শ্রমিক ধর্মঘটে মোটর সাইকেল, রিকশা ও অটোরিকশা ছাড়া সব ধরনের ছোট বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে স্থানীয় যাতায়াতকারীরা দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে রিকশা বা অটোরিকশা করে যাতায়াত করতে পারছেন গন্তব্য স্থানে। তারপরও অনেক স্থানে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

এদিকে টানা ৩ দিন শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে উপজেলাজুড়ে। বিশেষ করে মাছ, তরি-তরকারির বাজারে দেখা দিয়েছে আকাল। বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্যদ্রব্য আসায় দাম হয়েছে চড়া। এতে করে দিনমজুর ও নিম্ন পর্যায়ের মানুষরা হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়াও গোলাপগঞ্জের মুদি দোকান গুলোর অবস্থাও একই রকম। ফলমূল, পান-সুপারিসহ সব কিছুতে সংকট থাকায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী্রা। সব কিছু মিলিয়ে গোলাপগঞ্জের জনজীবন নানা ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গোলাপগঞ্জ বাজারের ভেলাশা মৎস্য আড়ৎ’র মালিক হাফিজুর রহমান জুবের জানান, গত দু’দিনের ধর্মঘটের কারনে সিলেটের বাহির থেকে মাছ আনা সম্ভব হচ্ছে না। গত শুক্র ও শনিবার যে মাছের গাড়ি সকালে আসার কথা সেই গাড়ি দিনভর ধর্মঘটের কারণে রাস্তায় আটকা পড়ে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের।

চৌমুহনীর ফল ব্যবসায়ী কয়েছ আহমদ জানান, শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে একদিকে ফল সিলেট থেকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ক্রেতা শূন্যতায় মারাত্বক লোকসান গুনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।

অন্যদিকে, সুশীল সমাজের দাবী, অচিরেই শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার এবং যান চলাচল স্বাভাবিক না হলে উপজেলাবাসী মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।