গোলাপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়িনের গোলাপনগর উত্তর কাঁন্দিগাও গ্রামে সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বাঘা ইউপির গোলাপগনগর উত্তর কান্দিগাওঁগ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে ছিলিক আহমদ (৪০), সালেহ আহমদের ছেলে রাজু আহমদ (২২) ও মঞ্জুরুল ইসলাম (১৭)।

এ ঘটনায় ছিলিক আহমদের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত কুটু মিয়ার পুত্র ছয়ফুল আলম (৪৮), ছয়ফুল আলমের পুত্র শাহিন আহমদ (২৩) ও ফাহিম আহমদ (২১) কে অভিযুক্ত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে ছয়ফুল আলম ও তার ছেলেদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিবাদীরা বাদী পক্ষের বাঁশ ঝাড় থেকে কয়েকটি বাঁশ কেটে নিয়ে যায়। এনিয়ে সোমবার সকালে সালিশ বৈঠক চলাকালে বিবাদীরা গালিগালাজ করে।

এসময় ছিলিক আহমদ প্রতিবাদ করলে বিবাধীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা তাকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে রাজু ও মঞ্জুরুল এগিয়ে আসলে তাদেরকেও দা দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ছিলিক আহমদ ও মঞ্জুরুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়। আহত রাজুর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত ছিলিক আহমদ জানান, দীর্ঘ দিন থেকে ছয়ফুল আলম ও তার ছেলেরা আমাদের জায়গা দখলের পায়তারা করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের জায়গা থেকে বাঁশ গাছ কেটে নিয়ে যায়। সালিশ বৈঠকে গালিগালাজ করলে আমি এর প্রতিবাদ করলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এসয় আমায় বাঁচাতে এগিয়ে আসলে রাজু ও মঞ্জুরুলকে গুরুতর আহত করে।

এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিয়ানীবাজারের তেজপাতায় ’তেজ’ নেই