ফুটেছে লাল শাপলা, চারিদিকে পাখির কলরব। বিলের এপাশ থেকে ওপাশ শুধু চোখ জোড়ানো লাল শাপলার সমারোহ। এ যেন রক্তিম নান্দনিকতার মনোলোভা রূপ। সকালে উদিত সূর্যের আভায় ফুটন্ত লাল শাপলা ও পড়ন্ত বিকালে সূযাস্তের দৃশ্য মুহুর্তে যে কারো মন কাড়ে।

এমন সৌন্দয্য বিরাজ করছে সিলেটের গোলাপগঞ্জের এরাল বিলে। প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তীর্ণ বিলটি। গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গীর্দ্দ, টিকরপাড়া, ফাজিলপুর, আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল, আমুড়া (বাঙ্গালীগুল), আমনিয়া বাজার ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রানাপিং, বাদে রনকেলী ও ঘোঘারকুল পূর্বপাড়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের সংযোগ নিয়ে বিস্তৃত এ বিল।

সুষ্টু পরিকল্পনার অভাবে উপেক্ষিত বিলটি এখনো রয়ে গেছে দর্শনার্থীদের অনেকটা অগোচরে। তবে দিনের বিভিন্ন সময় প্রকৃতি প্রেমী ভ্রমণ প্রেয়সীরা লাল শাপলার সৌন্দর্য অবলোকনে ছুটে আসেন এরালবিলে। বছরে দুটি রুপ ধারণ করে ও দিনে দু’বার রুপ পাল্টায় বিলটি। বর্ষা মৌসুমে চারিদিকে অথৈ জলে থৈ থৈ দৃশ্য ও শীত মৌসুমে লাল শাপলার রাজ্যে হারিয়ে যেতে পারেন দর্শনার্থীরা। দিনের উদিত সূর্যের আভায় ফুটন্ত লাল শাপলা ও গোধুলী বিকেলে সুর্যাস্তের দৃশ্য বিলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।

বর্তমানে বিলটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অতিথি পাখির কিচিরমিচির কলরবে মুখরিত থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখিদের উড়ে যাওয়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ে সবার। দর্শনার্থীদের ঘুরে আসার উপযুক্ত সময় শীতকাল। অপরূপ সৌন্দর্যেবিভোর এ বিলটি যেন পর্যটক ও দর্শনার্থীদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, বিলটিকে ভ্রমণ প্রেয়সী পর্যটক দর্শনার্থীদের জন্য ঢেলে সাজিয়ে গড়ে তোলা হলে গোলাপগঞ্জের পর্যটন শিল্পে নতুন ধার উন্মোচিত হবে। পর্যটক দর্শনার্থীদের পদচারণা শুরু হলে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারিত হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের একটু সহযোগীতায় গোলাপগঞ্জের অন্যতম আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে লাল শাপলায় মুখরিত এরাল বিল।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম কবীর বলেন, পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সরকার আন্তরিক। এ খাতে সরকারের গৃহীত বাস্তব সম্মত নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিলটি পরিদর্শন করে আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়া হবে তিনি জানান।

যেভাবে যাবেন: গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী থেকে আমনিয়া-শিকপুর সড়ক দিয়ে ঘোঘারকুল রাস্তায় একটি সিএনজি (অটোরিকশা) রিজার্ব করে ১০০-১৫০থেকে টাকা নেবে। অথবা বাইক যোগে মাত্র ২০-২৫মিনিটে পৌছে যাবেন গন্তব্যে।