গোলাপগঞ্জে টিলা ধসে বিপর্যস্ত বিভিন্ন বাড়ি ঘর, মানবেতর জীবন যাপন করছেন পরিবারগুলো।

কয়েক টানা বর্ষনে টিলা ধসে বিভিন্ন বসত ভিটা বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টিলার উপর থেকে স্লিপ করে কারো ঘরে কাঁদা মাটি ঢুকে পড়েছে আবার কারো ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে।

দেখা যায়, মাটি চাঁপায় অনেকের সামনের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকালে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ৬ ওয়ার্ডের ঘোগারকুল বাদেরনকেলী এলাকা ঘোরে বিভিন্ন ঘর বাড়ির এ চিত্র দেখা যায়।

এ সময় ভোক্তভুগী পরিবার গুলোর সাথে কথা হলে তারা জানান, অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে আছেন। অনেকের আবার রান্না ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় পড়ছেন অনেক বিপাকে।

পৌর এলাকার মৃত জুনাব আলীর ছেলে শামিম আহমদ অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়েরাসহ আমাদের চারটি ঘরে আমরা মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে আছি। আমাদের ৩ টি ঘরের দরজা কাঁদা মাঠিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ছেলে-মেয়ে সবাই মিলে কাঁদা মাটি সরাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন রকম সাহায্য সহযোগীতা পাননি। অনাহারে অর্ধাহারে কোন রকমে ৩-৪দিন যাবৎ আছি। তাছাড়া যে ক্ষতি হয়েছে এগুলা আমরা কি ভাবে পুষিয়ে উঠব তা নিয়েও আমরা দুশচিন্তায় আছি।

এলাকার সচেতন মহল আশংকা প্রকাশ করছেন সময় উপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে এবং আশংকাযুক্ত ঘর বাড়িকে নিরাপদে না রাখলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্বক দুর্ঘটনা যে সকল বাড়ি ঘর টিলা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত জুনাব আলীর ছেলে শামিম আহমদের ঘর, আমির আলির ঘর, হাসান আহমদের ঘর, কামরুল ইসলামের ঘর, মৃত জরিদ আলির ছেলে জামাল আহমদের ঘর, মৃত মাসুক মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার ঘর, মৃত মাসুক আলীর ছেলে আজজুল মিয়ার ঘর, মৃত জগু মিয়ার ছেলে সমিজ বাবুর্চির ঘর, মৃত আছাব আলীর ছেলে তাজ উদ্দিনের ঘর, আজিজুল আলীর ছেলে রাজু আহমদের ঘর, ঘোগারকুল এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে বাক প্রতিবন্ধী নজির আলির ঘর, মৃত নম মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া ও মৃত জলিল মিয়ার ঘর। এছাড়াও উপজেলা জুড়ে আরো বিভিন ঘর বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে পোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবীরের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা কিছু জায়গায় পরিদর্শন করেছি। খোঁজ নিয়ে পৌর এলাকার ০৬ নং ওয়ার্ডে ও টিলা ধসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর তালিকা তৈরী করব।