সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়েই তোলপাড় চলছে। এই মামলার এজাহারভূক্ত সবাইসহ এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্যাতিতা তরুণীর সাথে অভিযুক্তদের কীভাবে প্রথম দেখা হয় তারও তদন্ত করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে নির্যাতিতার স্বামী ও এই মামলার বাদী গণমাধ্যমকে জানান, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগে স্ত্রীসহ প্রাইভেটকারযোগে হযরত শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারতে যান তিনি। জিয়ারত শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে মাজার থেকে রওয়ানা দেন।

এসময় তার স্ত্রীর মোবাইলে একটি কল করে। মোবাইল আলাপের পর পর তার স্ত্রী বলেন, ‘আমার একজন বন্ধু দেখা করার জন্য কল করেছে। তার সঙ্গে এমসি কলেজের গেটে দেখা করবো।’ এতে সম্মতি জানান স্বামী। এরপর এমসি কলেজের মূল গেইটের সামনে গাড়ি থামান তিনি। নববধূর স্বামী জানান, স্ত্রীর সেই বন্ধুর নাম আইনুল। তিনি দেখা করতে আসার পর আমি পাশের দোকানে সিগারেট কিনতে যাই।

মামলার বাদী বলেন, দোকান থেকে এসে গাড়িতে উঠার সময় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর আমাকে ডাক দিয়ে আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাজে কথা বলতে থাকে। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে তারা জোর করে গাড়িতে তোলে আমাদের ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। সেখানেই স্বামীকে আটকে রেখে গাড়ির মধ্যে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় তারা।

এদিকে, এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত আসামিদের সাথে সন্দেহভাজন হিসেবে আইনুলকেও গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।