ঢাকা থেকে বিয়ের কেনাকাটা করে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিয়ানীবাজারের বাবর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। পথে গাড়ির লকারের ঢাকনা খুলে মালভর্তি ব্যাগটি সড়কে পড়ে যায়। ব্যাগটি কুড়িয়ে পান মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি। অনেক চেষ্টায় মালিকের সন্ধান পেয়ে একদিন পর সোমবার ব্যাগটি ফেরত দেওয়া হয়েছে। ব্যাগের মালিক বাবর আহমদের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর গ্রামে।

বাবর আহমেদ ও আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাবর আহমদের বড় বোন সপরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বোনের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ে উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত শপিং মল থেকে প্রায় চার লাখ টাকার জিনিসপত্র কেনেন বাবর। কয়েকটি ব্যাগে ভরে তা নিয়ে রোববার শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে করে বিয়ানীবাজারে ফিরছিলেন তিনি। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর একটি ব্যাগ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এ সময় গাড়ির মাল রাখার স্থানের (লকার) ঢাকনা খোলা পাওয়া যায়। বাবর বিষয়টি স্থানীয় শ্যামলী কাউন্টারে জানান। খোয়া যাওয়া ব্যাগে কনের শাড়ি, লেহেঙ্গা, বরের পাঞ্জাবিসহ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মাল ছিল।

এদিকে রোববার রাত নয়টার দিকে জুড়ী উপজেলা সদরের আমতৈল এলাকায় স্থানীয় কিছু লোক সড়কের পাশে একটি ব্যাগ দেখে জড়ো হন। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী আবদুর রহিম সেখানে গিয়ে ব্যাগটি নিয়ে যান। এলাকাবাসীর পরামর্শে ব্যাগটির মালিকের সন্ধানে রাতেই স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করানো হয়। পরে শ্যামলী পরিবহনের জুড়ী কাউন্টারে বিষয়টি জানানো হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্যাগের সন্ধান পেয়ে বাবর জুড়ীতে ছুটে আসেন। পরে রহিম ব্যাগটি তাঁর হাতে তুলে দেন। এ সময় বাস কাউন্টারের লোকজন, বাসের সুপারভাইজার ও এলাকার গণ্যমান্য কিছু লোক উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাগটির ভেতরে বোমা আছে মনে করে প্রথমে কেউ সেটি ধরার সাহস পাননি বলে জানান আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ব্যাগ দেখে কেউ কেউ পুলিশকে খবর দিতে চান। পরে নিজেই ব্যাগটি নিয়ে যান। প্রকৃত মালিকের কাছে ব্যাগটি বুঝিয়ে দিতে পেরে তিনি খুশি হয়েছেন।

ব্যাগ পেয়ে বাবর বলেন, ‘ব্যাগটি ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। সমাজে ভালো মানুষ যে আছেন, তার প্রমাণ পেলাম। এক আত্মীয় কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। তিনি এসব মাল নিয়ে যাবেন।’

ঝাঁকুনিতে বাসের ঢাকনার সিটকিনি খুলে ব্যাগটি পড়ে গেছে বলে জানান গাড়িটির সুপারভাইজার সুজন আহমেদ। তিনি বলেন, ঢাকনার সিটকিনি ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজারে জমির হোসেন ও নাজু বেগম দম্পতির কৃষি আঙিনা