গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠি লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সিলেট এমসি কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্র  ছাত্র নুরুল আমিন জনি। সোমবার (২০ এপ্রিল) জনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ খোলা চিঠিটা পোস্ট করেন। জনি একজন জনপ্রিয় আঞ্চলিক ইউটিউবার ব্লগার হিসেবেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ পরিচিত।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর কলেজ ছাত্র নুরুল আমিন জনির ফেসবুকে প্রকাশিত খোলা চিঠিটা হুবুহু ‘বিয়ানীবাজার নিউজ২৪‘র পাঠদকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

আস্সালামুআলাইকুম
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিষয়ঃ করোনা ভাইরাসে মাঠ পর্যায়ের গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে সুদৃস্টি দেওয়ার জন্য আবেদন।

জনাবা,
আমি একজন ছাত্র। আমি সিলেট এমসি কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যে জায়গায় পুরো পৃথিবী নিস্তব্দ। সেই জায়গায় আপনি এবং বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ প্রতিনিয়তই লড়াই করে যাচ্ছে। প্রশাসন সহ সকল পর্যায়ের কর্মীরাই এখন মাঠে নামছে তাদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে।আপনি আপনার উধার মনের পরিচয় দিয়েছেন ইতি মধ্যেই অনেক খ্যাতে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে। অসহায় মানুষদের পাশে আপনি দাড়িয়েছেন।আপনি দাড়িয়েছেন অন্যান্য অনেক পেশার মানুষের পাশে। সবার বাসায় খাবার পৌছে দেওয়া সব মাস শেষে বেতন এর ও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এতেই বুঝা যায় আপনি কতো মহৎ। কিন্তু আজকে একটা জিনিস লক্ষ করলাম একজন সাংবাদিক বাসায় না খেয়ে আছেন, তারপর আরেক বড় ভাই যখন বাসায় বাইরে খাবার দিয়ে চলে এসে উনাকে কল করে বললেন আপনার বাইরে খাবার রাখা তখন তিনি রীতিমতো কেদেই দিলেন (আমি রেজা রুবেল ভাইয়ের লাইভে শুনেছিলাম)। বিষয়টি দেখে আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। একটা জিনিস লক্ষ করলাম, প্রশাসন, ডাক্তাররা যে ভাবে জীবন যুদ্ধ করছেন, ঠিক একই ভাবে কিন্তু সাংবাদিকরাও করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রতিদিনের খবর সব কিছু উনারা রাস্তায় থেকে করতেছেন। ইতি মধ্যে আমি শুনেছি ৪জন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো অনেক উদার মনের মানুষ কেনো না উনাকে বলি যে এই সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। তাদের পাশে দাড়ান আমি এক ছোট শেখ রাসেলের মত ছাএ আপনার প্রতি আমার অনুরুদ দেশের গণমাধ্যম কর্মিদের পাশে দাড়ান তাদের সহ পরিবারের সবাইকে বাচিয়ে রাখুন। আমি মনে করি আপনি কখনোই ফিরিয়ে দিবেন না। সাংবাদিকরা প্রতিটি সময় প্রতিটি কাজে সব সময় সামনে থাকেন নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে। প্রতিটি বিশেষ জায়গায় বিশেষ কাজে আমি যতো ফটো বা ভিডিও দেখলাম সব জায়গায়ই উনাদের অবস্থান থাকে। তাই আমি আশা করি আপনি উনাদের জন্য ও অন্য সেক্টরের কর্মীদের মতো একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন। কারণ উনারা আছেন বলেই এই সময়ে আমরা বাসায় বসে সব সত্য খবর পাই।

ইতি
নুরুল আমিন জনি

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-