চারপাশে খাই খাইয়ের মধ্যে মেপেজোখে মেয়রের কাজ আদায়ের চেষ্টা দেখে ভালো লাগল। দেশের প্রায় সবাই যখন খাই খাই অবস্থায়। রডের বদলে বাঁশ, বালুর বদলে মাটি, সিমেন্টের সাথে পলি, পরিমাপে চোরাচুরির মধ্যে যখন হাবুডুবো খাচ্ছি তখন মেয়রের ছোট্ট এক কাজটি আমার কাছে সত্যি প্রসংশিত।

সিলেটের বিয়ানীবাজারে একটি রাস্তার আরসিসি ঢালায়ের কাজে পৌরসভার মেয়রের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটা খুব ছোট একটা কাজ। অথচ বড় বড় সেতু ভবনের কাজেও জনপ্রতিনিধিদের তদারকি চোখে পড়েনা।

আর তদারকি হয়না বলে দেশে উন্নয়ন কাজের মান নিয়ে এত বিতর্ক। বেশিরভাগ ঠিকাদারের চুরি চামারির দৃশ্য দেখে আমরা অভ্যস্ত। শুধু সঠিক তদারকির অভাবে রাস্তা, ড্রেন কিংবা ইট-কংকিটের কাজে যোচ্চুরি চলে। আর তাই একদিকে নির্মাণ হচ্ছে, পরপর ভেঙে পড়ছে। দীর্ঘস্থায়ী বা টেকসই হচ্ছে না। রাস্তার কাজের মাস পেরুতে না পেরুতেই পিচ উঠে যাচ্ছে বা ভেঙে যাচ্ছে।

মেয়র হলেন সিটি বা পৌরসভার হর্তাকর্তা। তার উপর সিটি বা পৌরসভার বাসিন্দারা ভরসা করেন। আর তিনি যখন শীতল বাতাসের পরশ ছেড়ে বেরুতে চাননা, তখনই ঘটে অনিয়ম। মেয়র হবেন কাদা পানি মাখা মানুষের কাছের বন্ধু। তিনি যেমন অনুষ্ঠানের অতিথি হবেন, তেমনি গণমানুষের বন্ধুও হবেন।

মেয়রের এই কাজ আমার দৃষ্টি কেড়েছে। চাইলে ছোট একাজ সরেজমিনে না দেখে ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে খবর নিতে পারতেন। তা না করে নিজে কাজে তদারকি করছেন। এটা অবশ্যই উঁচু মাপের চিন্তা। যা থেকে বিয়ানীবাজার তথা দেশ উপকৃত হবে।

আমি মেয়র আব্দুস শুকুরকে যতটুকু চিনি তাতে এমনটাই আশা করি। তার হাত দিয়ে বিয়ানীবাজারের টেকসই উন্নয়ন হোক প্রত্যাশা করি। তার তদারকির উন্নয়ন কাজ দেশের সকল মেয়রের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।

লেখক- সাংবাদিক ও কলামিস্ট।