সহায় বলতে ভিটেমাটি। বর্গাচাষ করে চলতো আটজনের পরিবারের জীবিকা। কিন্তু গত মার্চে পরিবারের একমাত্র উপার্যনকারি ব্যক্তির মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ে পুরো পরিবার।

বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ছুটিয়াং এলাকার অধিবাসী ময়নুল ইসলাম (৫০) ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার দুঃসংবাদ পান। তাঁর লাঞ্চ ও ফুসফুসে মরণ্যব্যাধি ক্যান্সারের ভাইরাস সনাক্ত করে চিকিৎসকরা।

এলাকার মৃত রফিক উদ্দিনের সন্তান ময়নুল ৩ ছেলে ও দুই কন্যার জনক। বড় ছেলের বয়স ১২ বৎসর। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তার সংসার।

ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এম এ খানের তত্ত্বাবধানে গত দুই মাস তার চিকিৎসা চলে। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা।

চিকিৎসক এম এ খান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তির হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী ১০ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু ময়নুলের কাছে ভারত যাওয়ার মতো টাকা নেই। ভিটে মাটি ছাড়া কোন জমিজমাও নেই। নিরুপায় হয়ে তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। দেশ-বিদেশের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে বলে ময়নুল আশাবাদী।

ময়নুলকে সহযোগিতা করতে বিয়ানীবাজার ওয়েস্ট ট্রাভেলস এর পরিচালক হুমায়ুন কবিরের (০১৭৩০৯৫২০৬৬) সাথে যোগাযোগ করার জন্য আহবান করা হচ্ছে। শীঘ্রই তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা হবে।