গোলাপগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে শিকপুর-বহরগ্রাম ঘাটে পুনরায় ফেরি চালুর দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টায় উপজেলার কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী ফেরী ঘাট সংলগ্ন এলাকা বহরগ্রাম বাজারে এ মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুশিয়ারা তীরবর্তী বুধবারী বাজার ইউনিয়নের জন মঙ্গল সমিতি বহরগ্রাম, কালিজুরি প্রভাত সংঘ, পল্লীমঙ্গল সমিতি বানিগ্রাম, বাগিরঘাট যুব সংঘ, কুশিয়ারা সমাজকল্যাণ সংস্থা ও সিলেট জেলা অটোরিক্সা (৭০৭) এর আওতায়ভূক্ত বহরগ্রাম শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে নদীর উভয় পাড়ের এলাকার কালিজুরী, বহরগ্রাম, বানিগ্রাম, বাগিরঘাট, শিকপুর, আমুড়া ও আমনিয়ার বাসিন্দারা অংশ নেন।

এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আলহাজ্ব মোজাহিদ আলীর সভাপতিত্বে ও জনমঙ্গল সমবায় সমিতির সভাপতি এবাদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বহরগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুস্তাক রহমান, প্রবাসী হাছনু মিয়া সেলিম, ক্যান্ট. স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মালিক, মাস্টার বিলাল উদ্দিন, সাংবাদিক চেরাগ আলী, তরুণ সমাজকর্মী হিফজুর রহমান, ওসমানী স্মৃতি পরিষদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখা সভাপতি এসইউ শিপলু, কুশিয়ারা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাদ উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, সেক্রেটারী আবুল কাশেম, সহ-সেক্রেটারী আতিকুর রহমান, যুবলীগ নেতা দেলওয়ার হোসেন, কুশিয়ারিা নতুন কুড়ি যুব সংঘের সেক্রেটারী ফয়ছল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ আহমদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা কুশিয়ারী নদীতে শিকপুর-বহরগ্রাম ঘাটে পুনরায় ফেরী চালুর জোর দাবী করে বলেন, পুর্ব সিলেটের বিয়ানাবীজার, বড়লেখা ও জুড়ি এলাকায় যাতায়াতের সহজ রাস্তা ছিল কুশিয়ারা নদীর উপর দিয়ে প্রবাহিত শিকপুর-বহরগ্রাম ফেরী। কিন্তু প্রায় বছর খানেক সময় থেকে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় দু’তীরের হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। দু’পাড়ের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সাম্মুখীন হয়েছেন।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও দাবী করেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে আবেদন করলে তিনি পুনরায় ফেরী চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও ফেরী চলাচল শুরু হয়নি। এতে করে নদী তীরের মানুষের চরম দুর্ভোগ ও ঝুঁকির মধ্যে ছোট ছোট ডিঙি নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছেন।

বক্তারা বলেন, সওজ’র দায়িত্বশীলরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেছেন। প্রায় বছরখানের পূর্বে থেকে ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। দু’টি ফেরীর মধ্যে একটি ফেরী অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বহরড়গ্রাম, বানিগ্রাম, বাগিরঘাট কালিজুরী এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যেতে হলে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে করে অনেক সময় রাস্তাতেই অনাকঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরী চলাচলের নিশ্চয়তা চাই। সেটা দুই উপজেলার লাখো মানুষের দাবি।