মৌলভীবাজারের কুলাউায় সেতু ভেঙ্গে ট্রেনের তিনটি বগি খালে পড়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও চারজন পুরুষ।

রাত দুইটায় মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। অনেকে এম্বুলেন্স সিএনজিসহ যে যেভাবে পারছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।

হতাহতদের উদ্বারে কাজ করছে দমকলবাহিনীর ১২টি ইউনিট। তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশ।

এতে আরও কয়েকজন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহতের খবর জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। নদীতে ছিটকে পড়া বগি থেকে মানুষের আর্তনাদ ভেসে আসতে শুনেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক যাত্রী।

আহতের মধ্যে ২০ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক। অনেককে মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালে পাঠানোর কথাও জানান তিনি।

রোববার রাত ১১টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে বনশাইল নামক স্থানে সেতু ভেঙ্গে উপবন ট্রেনের তিনটি বগি ছিটকে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় আরও কয়েকটি বগি। রাতে সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ওই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উয়ারদৌস হাসান রাত ১টায় ঘটনাস্থল থেকে জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে। ট্রেনের অন্য যাত্রীদেরও নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার ফলে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায় সিলেটের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোোগও পাঁচ দিন ধরে প্রায় বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রচুর বেশী যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়।