লকডাউনকালীন সময়ে প্রতিদিন ছিন্নমূল পথশিশু, বয়স্ক ক্ষুদার্তদের জন্য রান্নাঘর ‘উন্দাল’ উন্মুক্ত করে ১ম দিনে ৪০ জনকে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করলো কুলাউড়ার অমর্ত্য ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (৯জুলাই) দুপুরে কুলাউড়া পৌর এলাকার দক্ষিণ রেলওয়ে কলোনিতে অসহায় শিশু, বয়স্ক অভুক্ত মানুষের মধ্যে খাবারের এ আয়োজন করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, খুবই আনন্দের সাথে এইসব ছিন্নমূল মানুষেরা খাবার খাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ক্ষুধার্তদের জন্য দুপুরের এ আয়োজনে খাবার হিসেবে ছিলো মুরগীর মাংস দিয়ে খিচুড়ি।
নিরাপদ স্বাস্থ্য রক্ষায় সামাজিক সংগঠন- কুলাউড়ার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি সাইদুর রহমান চৌধুরীর বাসায় কঠোর লকডাউনে ক্ষুধার কষ্টে থাকা এইসব ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত মানুষের দুপুরের খাবারের জন্য শুরু হওয়া উন্দাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুলাউড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাসলিমা সুলতানা মনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের কুলাউড়ার সমন্বয়ক শিক্ষক সন্জয় দেবনাথ, কুলাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আলাউদ্দিন কবির, আজকের পত্রিকার কুলাউড়া প্রতিনিধি এস আলম সুমন, সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল বারী সোহেল, নিরাপদ স্বাস্থ্য রক্ষায় সামাজিক সংগঠনের সদস্য রুবেল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শিমুল কুর্মী, আরিফ মিয়া, শফিউর রহমান চৌধুরী সাফি প্রমুখ।
উন্দাল কার্যক্রমের সমন্বয়ক সাঈদুর রহমান চৌধুরী বলেন, অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম আমাদের প্রতিদিন চালু থাকবে। অভাবী আর ক্ষুধার্ত মানুষের এই উন্দাল কার্যক্রমে অংশ নিতে ও সহযোগিতা করতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, অমর্ত্য ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বরিশাল ও বাগেরহাটের পর কুলাউড়ায় শুরু হলো লকডাউনকালীন খাবার কার্যক্রম। কুলাউড়ার সন্তান, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী তাঁর অকাল প্রয়াত ছেলে অমর্ত্য এর নামে গঠন করেন অমর্ত্য ফাউন্ডেশন। যার কার্যক্রম প্রশংসা কুড়াচ্ছে। দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা সহায়তা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ফাউন্ডেশনটিকে।