মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে ১৬ বছরের এক কিশোরকে ৭ যুবক ও তাদের অপর ২-৩ সহযোগী মিলে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বলাৎকারের ঘটনায় বুধবার (৪ নভেম্বর) রাতে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ ঘটনার মূলহতো আতিক মিয়াসহ ৩ জনকে আটক করে।

কিশোর বলাৎকারের ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে। নির্যাতিত কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কিশোরের বাবা কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টায় ওই কিশোরকে ব্যাডমিন্টন খেলার কথা বলে বিলেরপাড় গ্রামের মো. তছির আলীর পুত্র আতিক মিয়া (১৮) খেড়টিলা নামক স্থানে নিয়া যায়। সেখানে তার সহযোগী ইয়ামিছ আলীর ছেলে আনছার মিয়া (২৯), কুতুব আলীর ছেলে মো. ছামাদ মিয়া (২৮), মৃত ইরফান আলীর ছেলে শফিক মিয়া (২৮), মৃত মাছিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (১৯), শওকত আলীর ছেলে পাপ্পু হোসেন (১৮) ও আলাউদ্দিন (১৮) সহ আরও ২-৩ জন মিলে কিশোরকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। একপর্যায়ে কিশোরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বলাৎকারকারীরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কিশোরের পিতা তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরের পিতা গত মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে ৭ জনের নামোল্লেখ করে ও আরও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ এটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় জনতা ঘটনার মূলহোতা আতিক মিয়া, শফিক মিয়া ও সুমন মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, আটক ৩ জনকে বৃহস্পতিবার সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।