ইশ্ ধ্বনিতে শুরু। ইশ ধ্বনিতেই শেষ হওয়া এক ম্যাচ। মুশফিকের রান আউট যেমন ইশ ধ্বনিতে টাইগার ভক্তদের মাথায় হাত উঠেছে। মুশফিকের মিস করা রান আউটের সুযোগও মাথায় হাত তুলেছে। স্লগ ওভারে উইকেটের সুযোগ তৈরি করেও উইকেট নিতে না পারা আফসোস জাগিয়েছে। বুকে দুরো দুরো ভাব উঠেছে। প্রার্থনায় উঠেছে হাত।পুরো ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের মতো আবারও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে টাইগাররা। এবারের হারের ব্যবধান মাত্র দুই উইকেটের।

বুধবার ওভালের নতুন উইকেটে টসই ব্যবধান গড়ে দেবে ধারণা করা হয়েছিল। মাশরাফিও বলেন, টস জিতলে বল নিতেন। তবে কিউই বোলাররা শুরুতে ভয় ধরাতে পারেননি। তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেন। দু’জনে তুলে ফেলেন ৪৫ রান। এরপর সৌম্য ২৫ এবং তামিম একটু বাদেই ২৪ করে চাপ বাড়িয়ে ফিরে যান। ভুল শটে আউট হন তারা।

দলের ১১৫ রানে মুশফিক ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউটে কাটা পড়লে চূড়ান্ত চাপ জেকে বসে টাইগার ব্যাটসম্যানদের ঘাড়ে। সাকিব ৬৪ রান করেও সেই চাপ কমিয়ে ফিরতে পারেননি। পরে মোহাম্মদ মিঠুন ২৬, মাহমুদুল্লাহরা সেট হয়ে ২০ রান করে ফিরে যান। শেষে সাইফউদ্দিন ২৯রান করেন বিধায় ২৪৪ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

টাইগারদের সংগ্রহ মন মতো হয়নি। তা বলারও অপেক্ষা রাখে না। ওই সংগ্রহ নিয়ে জিততে গেলে বোলারদের দারুণ কিছু করতে হতো। কিন্তু ঝড়ো শুরু করে কিউইরা চাপ বাড়ায় মাশরাফিদের ওপর। সেই চাপ কমান সাকিব আল হাসান এসে। তিনি দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং কলিন মুনরোকে ফেরান। পরেই কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামনকে রান আউটের দারুণ এক সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু মুশফিক আগে স্টাম্পের বেল ফেলে দেওয়ায় আউট হয়নি।

নিউজিল্যান্ড এখানেই এগিয়ে গেছে। মুশফিককে তারা রান আউট করেছে। পুরো ম্যচে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে। সুযোগ পেয়ে উইলিয়ামসন ও রস টেইলর ১০৫ রানের জুটি গড়েন। কেন ফেরেন মিরাজের বলে ৪০ রান করে। একই ওভারে টম ল্যাথামকে শূন্য রানে ফেরান মিরাজ। রস টেইলর পরে ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হন। পরে আবার জেমি নিশামকে তুলে নেন মোসাদ্দেক। ম্যাচ ফিফটি ফিফটি হয়ে যায়।

বাংলদেশ দলের তিন স্পিনার সাকিব-মিরাজ এবং মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের রঙ বদলানোর দায়িত্ব পড়ে পেসারদের ওপরে। মুস্তাফিজ দারুণ কিছু স্লোয়ার-কাটার দিলেও তা কাজে লাগেনি। তবে ম্যাচ জমিয়ে দেন সাইফউদ্দিন এসে।ইনিংসের ৪৩ এবং ৪৭ ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু শেষ দুই উইকেট তুলে নিতে পারেননি তারা।

২০১৫ বিশ্বকাপেও কিউইদের বিপক্ষে এমনই এক আফসোসের হার মেনে নিতে হয় টাইগারদের। সেবার বাংলাদেশ মাত্র ৩ উইকেটে হারে। শেষ ৬ বলে ১২ রান করে বের করে আনেন ম্যাচ। সেবার সাকিব ৪ উইকেট নেন। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি বৃথা যায় গাপটিলের সেঞ্চুরির কাছে। এবার বাংলাদেশের দুর্দান্ত ক্যাম ব্যাক বৃথা গেল।