বৃষ্টি বিঘ্নিত নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ১৭০ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ পারেনি লক্ষ্য ছুঁতে। পুনর্নির্ধারিত লক্ষ্যের ১৬ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪২ রানে। এরমাধ্যমে ২৮ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।

নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুই দফা বৃষ্টিতে নিউ জিল্যান্ড খেলতে পারেনি পুরো ২০ ওভার। ১৭.৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকার স্বপ্ন দেখালেও সেটা জয়ের জন্যে যথেষ্ট ছিল না।

সৌম্য সরকার ২৭ বলে করেন ৫১ রান, নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৩৮ রান। এছাড়া উল্লেখের মত স্কোর কেবল মাহমুদউল্লাহর, তার ব্যাট থেকে ১২ বলে আসে ২১ রান।


নিউ জিল্যান্ডের সাউদি, বেনেট ও মিলনে প্রত্যেকেই নেন দুটি করে উইকেট; অপর উইকেটটি নেন গ্লেন ফিলিপস।

এরআগে নিউ জিল্যাডকে চূড়ায় নিতে ব্যাট হাতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ফিলিপস। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রান। মাত্র ১৬ বলেই ৩৪ করেন মিচেল।

মোস্তাফিজুর রহমানের বদলে একাদশে আসা তাসকিন আহমেদের প্রথম বলে বল স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠান ফিন অ্যালান। তবে পরের বলেই উঠিয়েছিলেন সহজ ক্যাচ, কিন্তু অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ছেড়ে দেন সে সুযোগ। তবে ওই ওভারেই আউট হয়েছেন অ্যালান। তার আরেকটু উঁচু ক্যাচ হাতে জমান তরুণ নাঈম শেখ। আরেকদিকে মার্টিন গাপটিল পাওয়ার প্লের ফায়দা তুলে আনছিলেন। তাকে ফিরিয়েছেন সাইফুদ্দিন।

পরের ওভারে বিপদজনক ডেভন কনওয়ে শরিফুল ইসলামের বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন। সপ্তম ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় স্বাগতিকদের। এরপর খানিকক্ষণ চেপে ধরেন নাসুম-তাসকিন। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। ১১টা ডট বল দিয়ে ৪ ওভারে দেন ২৫ রান।

উইল ইয়ং ১৭ বলে ১৪ রান করে শেখ মেহেদীর বলে স্টাম্পিং হন তিনি। একশোর আগেই ৪ উইকেট পড়ে কিউইদের। মেহেদীকে গ্লেন ফিলিপস ছক্কায় একশো পার করার পরই নামে বৃষ্টি। ১২.২ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১০২। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকায় ২ ওভার কমে আসে ইনিংসের। ফের খেলা শুরু হতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ৭ করা মার্ক চ্যাপম্যানকে নিজের বলে ক্যাচ নিয়ে ফেরান শেখ মেহেদী। কিন্তু গ্লেন ফিলিপসে থামানো যায়নি। একাই বাংলাদেশের নাগাল থেকে ম্যাচ দূরে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি।

১৮তম ওভারে আবার বৃষ্টি শুরু হলে ইনিংস শেষ করতে পারেনি কিউইরা। বাংলাদেশের জন্যে লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১৬ ওভারে ১৭০।

করোনা সংক্রমণ রোধে ১৮ নির্দেশনা- জনসমাগম সীমিত, গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেক