ঘরভরা কার্তিকের মিটেল রোদ
তারও আগে শীতল কুয়াশা, বুকদীর্ণ বাতাস
দখল করে এক চিলতে বিছানা।
কাক ডাকতে না ডাকতে বের হই
পথের বাঁকে সবুজ কচুপাতায় রূপালি শিশিরকণা গুণতে!

কার্তিকের হীমভোরে উষ্ণ মিলনে ধরা দেয়-
শিশির-কচুপাতা। ‘ফ্ল্যাসব্যাক’এ যাওয়ার সুযোগ না রেখে
হৃদপিঞ্জর চুম্বনস্রোতে ভাসে!
যুগলবন্ধীর আঁচড়কাটা খুনসুটির রেস কাটিয়ে নীড়ে ফিরি

ঘরভরা রোদে আলনায় জমে থাকা ধুলো
পূবালীর অমলিন দর্পণে ধরা পড়ে বড় বেমানানভাবে
এতো অযত্ন-অবহেলার জন্মক্ষণ স্মৃতিপটে ধরা পড়ে না!

কার্তিক দুপুরের উষ্ণতা আমায় ভুলতে বলে
শীত সকালের কথা, কুয়াশা বুকবিদীর্ণ বাতাস আর
জমাট রাত্রিগুলো; ভুলতে বলে শিশির…

নাহ্ শিশিরকণা-কচুপাতার একরাশ উষ্ণ চুম্বন কীভাবে ভুলি?
কীভাবে ভুলি- একত্রিত দিনরাতের হাজারও খুনসুটি
দুপুর কিংবা একেকটি সকালের কথা!

পারিনি। আজও পারা হলো না…