করোনার থাবায় কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচওসহ কয়েকজন চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারদের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আপাতত টিএইচও পদ মর্যাদা সম্পন্ন চিকিৎসককে প্রেরণে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

জানা যায়, করোনার প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ার পর গত ২৮ মে হাসপাতালের টিএইচও ডা. শেখ শরফুদ্দিন নাহিদ করোনা আক্রান্ত হলে ভারপ্রাপ্ত টিএইচও’র দায়িত্ব দেয়া হয় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল হারিছকে। তিনিও করোনার নমুনা দিলে গত ৮ জুন তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়জুর আহমেদুজ্জামান খানকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তারও করোনা রিপোর্ট গত ১০ জুন পজেটিভ আসে।

এছাড়া হাসপাতালে কর্তব্যরত আরো ৫ জন এমবিবিএস চিকিৎসক করোনার নমুনা পূর্বে দিয়েছিলেন। তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও কানাইঘাটে প্রার্দুভাব ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ায় এবং হাসপাতালের আশপাশ এলাকা করোনার ডেঞ্জার জোন থাকায় এক প্রকার ঝুঁকি ও ভয়ের মধ্যে তারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যার কারনে আপাতত সময়ে হাসপাতালের টিএইচও’র দায়িত্ব পালন করবেন এমন পদ মর্যাদার চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাসহ দৈনন্দিন নানা ধরনের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এমবিবিএস চিকিৎসক ডা.  কুলছুমা বেগম আপাতত অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করছেন। করোনায় আক্রান্ত হন হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. উৎপলেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু তার করোনা রিপোর্ট পরবর্তীতে নেগেটিভ আসে। তিনি সুস্থ থাকলেও তার হার্টে রিং থাকায় আপাতত বিশ্রামে আছেন।

এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা ও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত চিকিতসৎসকরা হলেন-  হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. নাসরিন রহমান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক রিয়াজুল আমিন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাসুক আহমদ, পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা রাধিকা রানী দেব এবং অফিস সহকারী জামাল উদ্দিন। তন্মধ্যে জামালের রিপোর্ট পরবর্তীতে নেগেটিভ আসলেও  স্বাস্থ্যগত কারনে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে টিএইচও ডা. শেখ শরফুদ্দিন নাহিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় আক্রান্ত অপর চিকিৎসকগণও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কানাইঘাটে করোনার প্রার্দুভাব দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালের টিএইচও ডা. শরফুদ্দিন নাহিদসহ কয়েকজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যার কারনে হাসপাতারের সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম সচল রাখতে আসা করি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নিরহংকারী কামরানের অশ্রুসিক্ত বিদায়