কানাইঘাট পৌরসভার সচেতন নাগরিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পৌরসভাস্থ আল-রিয়াদ কমিউনিটি সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের চার-পাচঁজন করে মুরব্বীসহ বেশ কিছু নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতেই পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন তার স্বাগত বক্তব্যে দীর্ঘ ৫ বছরের পৌরসভার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আজ আমি আপনাদের আদালতে হাজির হয়েছি। আপনাদের যে, কোন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য। আপনাদের খাদেম হিসাবে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি জানি না। তবে বুকে হাত রেখে বলতে পারি পৌর পরিষদে কোন ধরনের দুর্নীতি করিনি। অন্যায় করিনি। স্বজনপ্রীতি করিনি। যে দুর্নীতি, অন্যায় ও স্বজনপ্রীতিকে প্রশয় না দেওয়ার জন্য নিজের কাছের অনেক প্রিয়জন আজ দুরে চলে গেছে। তাতেও তিনি সন্তুষ্ট উল্লেখ করে বলেন সামনে নির্বাচন করবো কি না সেটা বড় নয়। বড় হল এলাকার উন্নয়ন সহ আপনাদের সেবা করতে পারলাম কিনা?

এ সময় প্রতিটি ওয়ার্ডের দু’একজন করে মুরব্বীগণ বক্তব্য দেন। তারা পৌর মেয়রকে পুণরায় নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়ন চাই। পল্লীঘেরা অবহেলিত কানাইঘাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সকল রাস্তা করা ছিল কল্পনাতিত সেই সব রাস্তা মাটি ভরাট সহ পাকা করণ করা একমাত্র মেয়র নিজামের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। যার কারণে কানাইঘাট পৌরসভা সি গ্রেড থেকে বি গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। তা একমাত্র মেয়র নিজামই পারে উল্লেখ করে তারা বলেন কানাইঘাট পৌরসভাকে এগিয়ে নিতে আবারো মেয়র নিজামের প্রয়োজন রয়েছে। বিধায় তাকে আগামী নির্বাচনে পূর্নরায় বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে তারা বলেন আমরা কথায় নয় উন্নয়নে বিশ্বাসী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুরব্বী সিরাজুল ইসলাম খোকন, করামত আলী, আলা উদ্দিন মামুন, আয়াজ আলী, সাংবাদিক আব্দুন নুর, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাব উদ্দিন, আজমল হোসেন, আব্দুস শুক্কুর, মহরম আলী, হাবিব আলী, এবাদুর রহমান, আবু জর, মুহাম্মদ আলী, কানাইঘাট পৌরসভার প্রেকৌশলী মনির উদ্দিন আহমদ, কাউন্সিলর বিলাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জাহান, শাহাব উদ্দিন, সদস্যা আসমা বেগম সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধশত মুরব্বী বৃন্দ।

পরিশেষে পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন বলেন, এখনো পৌরসভার নানা সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা দুরুকরণের জন্য আমরা বড় ধরনের সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছি। ধড়পড়ি নদী সহ পৌরসভার বিভিন্ন খাল সংস্কার করে এ সমস্যা সমাধান করবো। পৌরবাসীর পানির চাহিদা মিটাতে বিশ্দ্ধু পানির জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। যে প্রজেক্টের জন্য ১৪ বিঘা জমির প্রয়োজন হয়। কিন্তু পৌরসভার নিজস্ব কোন জমি নেই। এমনকি ১৪ বিঘা জমি কিনার মত পৌরসভার কোন পুজিও নেই। তাই পৌরপরিষদের অনুরোধে আমি ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে এ জমিটুকু কিনে তাও আমরা সমাধান করেছি।

এ সময় কাউন্সিলর শাহাব উদ্দিন বলেন, একটি পক্ষ আজ পৌরসভার অফিস ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন অফিস ভাড়া নাকি প্রতি মাসে ৪০ হাজার। এর উপর তারা একটি অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সেই অভিযোগ তদন্তে তা ভুল প্রমাণিত হয়।