কানাইঘাট দিঘীরপার ইউপির মাটিজুরা গ্রামে অবস্থিত সরকারি পুকুর পাড়ে অবস্থিত অনুমান ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির বড় ও মাঝারী প্রায় ২৬ টি গাছ কর্তন করার পর উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা সেখানে সোমবার অভিযান চালিয়ে কয়েকটি পুকুর থেকে লক্ষাধিক পরিমান টাকার গাছের খাড়ি উদ্ধার করেছেন। সরকারী গাছ কর্তন নিয়ে গত সোমবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

জানা যায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত একটানা ৫দিন সরকারী খাস খতিয়ানের উপর অবস্থিত একটি সরকারী পুকুরপাড় থেকে স্থানীয় লন্তিরমাটি গ্রামের আবুল ফয়েজ চৌধুরীর পুত্র শাকিব চৌধুরীর নির্দেশে মাটিজুরা গ্রামের চিত্তনমসুদ্র, নগেন্দ্র নম সুদ্র সহ গ্রামের কয়েকটি হিন্দু পরিবারের লোকজন এবং মাঝর গ্রামের মৃত নজুব আলীর পুত্র জইন আলী, জলিল আহমদ, জমির উদ্দিন গংদের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একটি চক্র ৭লক্ষ টাকা মূল্যের গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। সরকারী গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা কর্তনকৃত গাছ উদ্ধার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এসিল্যান্ড লুসিকান্ত হাজংকে নির্দেশ দেন।

নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শে স্থানীয় ইউনিয়ন তহশীলদার সাহাব উদ্দিন ও সদর ইউনিয়ন তহশীলদার শরীফ উদ্দিন ভূমি অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পান সরকারী পুকুরের পার থেকে বড় ও মাঝারী সাইজের কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ২৬টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার সাথে জড়িত মাটিজুরা গ্রামের অনেকের বাড়ীর পুকুর ও জলাশয়ে অভিযান চালিয়ে রেন্টি, বেলজিয়াম সহ নানা প্রজাতির পুরনো বড় গাছের ৬৫ খাড়ি গাছ উদ্ধার করেন ভূমি অফিসের লোকজন। লুকিয়ে রাখা গাছের অবশিষ্ট খাড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে এসিল্যান্ড লুসিকান্ত হাজং জানিয়েছেন।