কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে উপজেলা সদর ও পৌর এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করলেও নিম্নঞ্চল ও হাওর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

সুরমা ডাইকের ভাঙ্গনক বলিত এলাকা দিয়ে এখনও পানি গ্রামাঞ্চলে ঢুকছে। দ্বিতীয় দফা ভয়াবহ বন্যায় ঘর-বাড়ি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি পাকা, কাঁচা সড়কেরও অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কানাইঘাট-দরবস্ত সড়কের নিচু এলাকা দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত অব্যাহত থাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিহ্ন রয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি-ঘরএখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। নিম্ন আয়ের মানুষ কর্ম হারিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। এখনও উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বন্যারপানিতে প্লাবিত রয়েছে। হাওরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ নৌকার অভাবে ঘর-বাড়ি থেকে বেরহতে পারছেন না। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার কারনে আউস ধান ফলাতে না পারায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক আমন ধানের বীজতলাও বিনষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে।

প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভয়াবহবন্যায় উপজেলার বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে অনেকে বলছেন। সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে এখনও প্রবাহিত হচ্ছে।

সুরমা ডাইকের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

বন্যার কারনে নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর গ্রাহকরা। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক মোটামুটি সচল থাকলেও রবি, এয়ারেটেল নেটওয়ার্ক দুই দিন থেকে পুরোপুরি অচল অবস্থায় রয়েছে।