বিয়ানীবাজারে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। প্রথমদিকে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন, যা মোট আক্রান্তের ৪০ শতাংশের বেশি।

গত ২৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল ফেরত এক জুয়েলার্স কারিগরের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর থেকে  বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৫জনে এবং মারা গেছেন ৫জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৯জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে আগামী আরও ৭ দিন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে। নতুন সুস্থ হওয়া রোগীরা হচ্ছেন- আলীনগর ইউনিয়নের নিজ মোহাম্মদপুর গ্রামের শিপলু আহমদ (২৫), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৪৩) আলীনগর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের শহীদ মিয়া সরকার (৫৫), পৌরসভার কসবা চালিকোনা গ্রামের আখতার হোসেন (২৩), পৌরসভার খাসার জয়নাল আবেদিন (২৫), জাফর আবেদিন (২৩) ও তৌফিক আবেদিন (৮), ইউএনও’র বাসার কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫) এবং মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের নজরুল ইসলাম (৬২)।

স্বাস্থ্য বিভাগের দিক থেকে রোগীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, সার্বক্ষণিক ফলোআপ করা, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের জটিল কোনো উপসর্গ না থাকা করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার দা আবু ইসহাক আজাদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মধ্যে দেখা দেওয়া লক্ষণগুলো মৃদু। ফলে তাঁরা দ্রুত সেরে উঠছেন। শুরুতে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। তিনি বলেন, করোনা রোগীরা মনোবল দৃঢ় করে নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আক্রান্তদের জটিল কোনো উপসর্গ দেখা না দেয়ায় হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

৪ বছরেও শেষ হয়নি বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের দুর্ভোগ