‘শরীর কিছুটা দূর্বল ছিল। ২-১ দিন এভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর মনে কেন জানি শঙ্কা ভর করে বসে। যদিও আমি ২-১জন করোনা আক্রান্ত রোগী এবং সহকর্মীদের সংস্পর্শে গিয়েছিলাম। এরপর নিজ থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে এতে আমি মোটেও বিচলিত হইনি। বরং মনে সাহস সঞ্চয় করে নিজ বাসায় আইসোলেশনে চলে যাই। সেখানে একটি ঘরে সম্পূর্ণ সঙ্গরোধ থাকি। বিশ্বাস করুন একটিবারের জন্যও আমি হতাশ হইনি কিংবা ভয়ও পাইনি। এভাবে ১৪দিন আইসোলেশনে থাকার পর আমি সূস্থ হয়ে ওঠি। আমার সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে নিজ উদ্যোগে আরো সপ্তাহখানেক আমি এভাবে আইসোলেশনে থাকবো।’

করোনা আক্রান্ত এক রোগী এভাবে নিজের সূস্থ হওয়ার গল্প এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন। বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কালাইউরা গ্রামের চিকিৎসক ডা: শরীফ উদ্দিন এরকম সাবলিলভাবে নিজের সুস্থ হওয়ার তথ্য জানালেন।

তিনি রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক। এর আগে তিনি সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

ডা. শরীফ জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরটি তিনি শুধু তার ভাই হোসেন আহমদের কাছে জানান। বাড়ির আর কেউ এমন তথ্য জানেনা। তিনি বলেন, ঢাকার নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকাকালীন নিজ উদ্যোগে তিনি কালোজিরা ও মধু একত্র করে পরিমাণমত খেয়েছেন। আবার তিনি ভিটামিন সি, জিঙ্ক, এজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ঔষধ সেবন করেছেন।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বেশ ফরফুরে ছিলেন। করোনা রোগীদের জন্য তার পরামর্শ-বাঁচতে হলে ভয় পেতে নেই। সাহস সঞ্চয় করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। করোনায় খুব কম রোগী মারা যায় বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

তথ্যসূত্র- আগামী প্রজন্ম।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-