সুস্থ হয়ে উঠেছেন করোনায় আক্রান্ত ডা. তারেকুজ্জামান তারেক। তিনি ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত বিআরবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আক্রান্ত চিকিৎসক তারেকুজ্জামান তারেকের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলা লাউতা ইউনিয়নের কালাইউরা গ্রামে। সম্প্রতি তিনি করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপে জানিয়েছেন তার সুস্থ হয়ে উঠার গল্প। তিনি জানান, ১৬ই মে তার শরীলে কভিড-১৯ ভাইরাস প্রজেটিভ ধরা পড়ে। এর দু’দিন আগে হতে তার শরীর জ্বর, কাশিসহ করোনার একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। করোনা সন্দেহ থেকে তিনি টেষ্ট করান এবং তাতে প্রজেটিভ ধরা পরে। শুরু থেকেই তার চিকিৎসাকার্যে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন সম্প্রতি করোনা জয় করে উঠা আরেক চিকিৎসক ডা. শরীফ উদ্দিন। ডা. শরীফ উদ্দিনের বাড়িও একই গ্রামে। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগ বিভাগে কর্মরত। তিনি জানান, উনার শরীলে করোনার একাধিক উপসর্গ থাকায় ও শরীলের তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরুতে কিছুটা ভীতি কাজ করছে তার। তবে আক্রান্ত ডা. তারেকুজ্জামানে যথেষ্ট মনবল ছিলো। আর এই কাজটাই এই রোগ মুক্তিতে যথেষ্ট সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।

তারা জানান, তাদের কাছে মনে হয়েছে করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য প্রথম ১০ দিন খুবই ঝুকিপূর্ণ। এইসময় ভাইরাসটি শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানে। তাই সাপোর্টিং চিকিৎসা পেতে করোনা প্রজেটিভ সনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঐ দিনই করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতাল মুরদা হাসপতালে ভর্তি হন। ৫ দিন সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে বাসায় সেলফ আইসোলেশনে চলে আসেন। এর আগে ২৫ মে ও ২৭ মে যথাক্রমে ২য় ও ৩য় করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ডা. তারেকুজ্জামান তারেক কালাইউরা গ্রামের মরহুম বুরহান উদ্দিন আহমদের এর কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল থেকে এমবিবিএস এবং ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অফ লন্ডন থেকে বিশ্বখ্যাত এমআরসিপি ডিগ্ৰী অর্জন করেন।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-