করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬২ ও নারী ২৬ জন। মৃত ৮৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৩, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৮৬৯ জনে।

এর মধ্য দিয়ে ৯ দিন পর দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৯০-এর নিচে নামল। আর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজারের নিচে নামল চার দিন পর। কঠোর লকডাউনের কারণে কমতে শুরু করেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মানলে করোনার বিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলরা।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৩৪৯টি ল্যাবরেটরিতে ২৬ হাজার ৪১৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৫ হাজার ৮৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় তিন হাজার ৬২৯জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ২২৫জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন। এ নিয়ে সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

মৃত ৮৮ জনের মধ্যে দশ বছরের কম বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬০ জন রয়েছেন।

একই সময়ে বিভাগওয়ারী অনুযায়ী, মৃত ৮৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৩, চট্টগ্রাম ১৮, রাজশাহীতে তিন, খুলনায় তিন, সিলেটে তিন, রংপুরে তিন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।