‘করিম মামা হাত দিয়ে কি ইশারা করছিলেন আমি বুঝতে পারিনী। দুর্ঘটনা ঘটার পর আমার ঘুম ভাঙগে। এ অবস্থা রক্ত, সহপাঠীদের মৃত দেহ দেখে আমি অস্বাভাবিক হয়ে পড়ি। কিছুই বুঝতে পারিনী।’ নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪ এর সাথে আলাপকালে এসব বলেন। দেলোয়ার বলেন, দুর্ঘটনার পর আমি আর হাফিজ ভাই সুস্থ ছিলাম। আমাদের শরীরে আঘাত লাগলেও আমরা কথা বলতে পেরেছি। জায়গা থেকে নামতে পেরেছি। অন্য সবাই … বলতে পারব না। শুধু করিম মামা প্রথমে হাত নেড়ে কি বলতে চেয়েছিলেন। বুঝতে পারিনী।

দুর্ঘটনার পর হতবিহব্বল হয়ে পড়ি। হাফিজ ভাই এসে বলেন, সবার অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের কিছু একটা করতে হবে। এর পর স্থানীয়রা আসলো। পুলিশ আসলো। সবাই আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলো।

সোমবার সকালে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থি ক্যাম্প থেকে বিয়ানীবাজার আসার পথে নরসিংদীর মাধবদী থানার কান্দাইল এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ীদের বহনকারি মাইক্রো। বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে তিন ব্যবসায়ী ও চালক মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান ব্যবসায়ী রেজাউল করিম ও বাবুল আহমদ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে নিহত ছয় জনের জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবস্থানে তাদের দাফল করা হয়।

মাথিউরা সুতারকান্দি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন নিজ বাড়িতে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪কে দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন।

দেলোয়ার বলেন, অসহায় রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার মানবিক দায়িত্ব থেকে আমরা সেখানে গিয়েছিলেম। কিন্তু এরকম একটি ঘটনা ঘটবে সেটা ঘুনাক্ষরে চিন্তা করতে পারিনী। এ ঘটনা, সহপাঠী হারানোর বেদনা সারা জীবন আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে।