বিয়ানীবাজারে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। প্রথমদিকে করোনা রোগীর সেরে উঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ২৫১ জন, যা মোট আক্রান্তের ৭০.১১ শতাংশ। স্বাস্থ্য বিভাগের দিক থেকে রোগীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, সার্বক্ষণিক ফলোআপ করা, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের জটিল কোনো উপসর্গ না থাকা করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল ফেরত এক জুয়েলার্স কারিগরের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর থেকে রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৮ জনে এবং মারা গেছেন ১৯ জন। এ উপজেলায় বর্তমানে ৮৮জন করোনা রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার নতুন করে আরও ৭জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে আগামী আরও ৭ দিন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে। নতুন সুস্থ হওয়া রোগীরা হচ্ছেন-পৌরসভার নিমতলা এলাকার মোঃ সিদ্দিক আহমেদ (৩৬) ও মধ্য নয়াগ্রামের তারিকুল ইসলাম (৩৩), মুড়িয়া ইউনিয়নের ফেনগ্রামের আজিজুর রহমান (৩৫), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাজমুল হক মোল্লা (৪৮), মাথিউরা ইউনিয়নের পূর্বপার এলাকার আব্দুল কাদির জিলানী (৩১) ও ইকবাল হোসেন তারেক (৩১) এবং মাথিউরা ইউনিয়নের পুরুষপাল গ্রামের নূর উদ্দিন (৫৬)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মধ্যে দেখা দেওয়া লক্ষণগুলো মৃদু। ফলে তাঁরা দ্রুত সেরে উঠছেন। শুরুতে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। তিনি বলেন, করোনা রোগীরা মনোবল দৃঢ় করে নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আক্রান্তদের জটিল কোনো উপসর্গ দেখা না দেয়ায় হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

বিয়ানীবাজারের তেজপাতায় ’তেজ’ নেই