পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র দুইদিন বাকি। এই সময় ছুড়ি, চাপাতি আর কোরবানির পশু কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। এরমধ্যে কদর বেড়েছে গরুর মাংসের রান্নাবান্নায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী লেবু জাতীয় ফল ‘সাতকরা’ বেচাকেনাও। এবারের কোরবানির ঈদ আসন্ন হওয়ায় বিয়ানীবাজার উপজেলায় সাতকরার চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুন। ক্রেতাদের অভিযোগ, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতি মুনাফার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা ঈদের আগেই ফলটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ সিলেট অঞ্চলের ক্রেতাদের কাছে সাতকরার ব্যাপক কদর রয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানির ঈদকে সামনে লেবু জাতীয় এ ফলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। লেবু আকৃতির এই ফল স্বাদে ও ঘ্রাণে অতুলনীয়। সাতকরা দিয়ে রান্নাবান্না করাটা সিলেটের অঞ্চলের একটি ঐতিহ্য। এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাতকরার বেড়েছে চাহিদা। এজন্য বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারগুলোতে সাতকরা বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার পৌরশহরের সবজির বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাতকরাকে কেন্দ্র করে বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। ঝুড়িতে সাজিয়ে বিক্রি করছেন সবজি বিক্রেতারা। ক্রেতারাও কিনছেন বেশ। ছোট-বড় আকারভেদে প্রতি হালি সাতকরা বিক্রি হচ্ছে ৫০-১৪০ টাকা করে। মাঝারি আকারের সাতকরা প্রতি হালি ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট আকারের সাতকরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে বাজারগুলোতে বড় আকারের সাতকরা বিক্রি করতে দেখা যায়নি।

সবজি ব্যবসায়ী শামীম বলেন, আমি সারাবছরই সবজি বিক্রি করি, সাথে সাতকরাও। তবে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময় সাতকরার চাহিদা বেশি থাকে, বিক্রিও হয় বেশি। এসময় আকারভেদে ৮০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত প্রতি হালি সাতকরার দাম চাইলেন তিনি।

সাতকরা কিনতে আসা কবির আহমদ বলেন, বারো মাসই সাতকরার তরকারি থাকে খাবার তালিকাতে। তবে রমজান ও কোরবানির ঈদে পরিমাণে একটু বেশি লাগে। তিনি জানান, এবারের ঈদের ব্বাজারে সাতকরার দাম একটু চড়া। তবে আমি কয়েকজন বিক্রেতার কাছ থেকে দর কষাকষি করে ছোট সাইজের ২ হালি সাতকরা কিনেছি।