আজ শনিবার (২রা আগস্ট) বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। চলমান করোনাভাইরাস দূর্যোগের কারণে কোন ধরনের আনূষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা দোয়াখাঁ গ্রামের জাফর মঞ্জিলে পারিবারিকভাবে ঘরোয়া পরিবেশে দিনটি পালন করা হচ্ছে। এদিন গ্রামের বাড়িতে কবর জেয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

ষাট দশকের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের জীবদ্দশায় ‘নয়া দুনিয়া’ (উপন্যাস, প্রকাশ কাল– ১৯৫৩), ‘নীরব নদী’ (বড় গল্প, প্রকাশ কাল – ১৯৬৫), ‘ পঞ্চবিংশতি’, (ছোট গল্প, প্রকাশ কাল- ১৯৬৭), ‘ মাটির চেরাগ’,(নাটক, প্রকাশ কাল- ১৯৬৯) ‘ সাবুর দুনিয়া'( কিশোর উপন্যাস, প্রকাশ কাল- ১৯৮৪), ‘ বন্দী জীবনের কিছু কথা’, (স্মৃতিচারণ, প্রকাশ কাল- ১৯৮৭)’ কারাগার থেকে বেরিয়ে,( স্মৃতিচারণ, প্রকাশ কাল- ১৯৮৯) ‘,’চালচিত্র’ ( গল্প, প্রকাশ কাল- ১৯৮৯) এবং ‘ রাক্ষুসে বন্যা এবং’ ( যুগল উপন্যাস, প্রকাশ কাল- ১৯৯৭) এ ৯টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ কালীন আসামের করিমগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র সাপ্তাহিক ‘মুক্তবাংলা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন তিনি । মৃত্যুর পর তাঁর রচনা সমগ্র ২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এছাড়া একটি স্মারক গ্রন্থও বেরিয়েছে।

আকাদ্দস সিরাজুল ইসলাম ১৯২২ সালের ২২ নভেম্বর বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা দোয়াখাঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালের ২ আগস্ট ভোরে গ্রামের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক কারণে ১৯৭৫ পরবর্তীতে তিনি দু’বার কারাবরণ করেন। আকাদ্দস সিরাজুল ইসলাম বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের একটানা ২২ বছর (১৯৬৮-৯০) সাধারণ সম্পাদক এবং ৬ বছর (১৯৯০-৯৬) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুবর্ণজয়ন্তীতে (১৯৯৯ সালে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ‘ত্যাগী নেতা’র স্বীকৃতি হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করেন।

বিয়ানীবাজারে ঈদুল আজহা উদযাপন, ১৫ হাজারেরও বেশি পশু কোরবানি