সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ওসমানী মেডিকেল রোডের কয়েকজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী ও দালালসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পরদিন এক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।

গত ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার দিবাগত রাত) সাড়ে ১২টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডের সামনে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা বাদি হলেন- হামলার শিকার সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ বক্সের এ.এস.আই মো. শাহাদিল মিয়া।

আসামিরা হচ্ছেন- ওসমানী মেডিকেল রোডের ফার্মেসি ব্যবসায়ী ঝুমন (২৩), রুমেল (২০), মানিক (২২), সুমন (২৩), আকাশ (২২) ও সাজ্জাদ (১৯), মানিক মিয়া (২৮), লিটন দাস (৩৫), প্রবির (৩০), হেলাল (৩৫), আব্দুল হাকিম (৩৫), কয়েস মিয়া (৩৫), ইমন (২৮) ও রিপন (২৪), খালেদ মিয়া (৪০) এবং ওসমানী মেডিকেল রোডের ফার্মেসিগুলোর দালাল শাহীন (২৫), শিমুল (২৮), সায়েম (২৮), মাছুম (১৯), মফিজ (২০), মিজান (২৬), আনিস (২২), শিমুল (২৫), তামিম (২৫), লাবলু মিয়া (৪৫), রাসেল (৩০), জুয়েল (৩৫), কাইয়ুম (৩৬), আজাদ (৪৫), কালাম (২৩), শাহীন (৩৩), জাহেদ (৩৪), মিলন (২৮), মালেক (৪৫), হাফিজুল (৩৪), আলমগীর (২৮), হৃদয় (২০), কামরুল (২৬), কাশেম (২০), আঙ্গুর (৩২), জাকির (২৭), সুহেল (৩৫), জুনেদ (৩৫), ইমন (৩০), কামরুল (২৮), কবির (২৫), বিল্লাল (৩৫), বাবুল (৩০), রনজিত (৩৫), জহির (২৮), সেলিম (২৫), মুরাদ (৩৭), সেলিম (৩৮), সুমন (২০), আকিল (২৩), বাবুল (৩০), মাছুম (৩০), জামাল (২৭), আমির হোসেন ৩৫), মোতালেব (৩৪), জালাল (২৮) ও বাতেন (৩৫)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মারামারি করে আহত এক রোগীকে নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন এ.এস.আই মো. শাহাদিল মিয়াসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হতে আসা ফয়েজ আহমদ রাজ নামের রোগীর সঙ্গে থাকা মামলার ১ ও ৫ নং বিবাদি ঝুমন ও আকাশসহ আরো কয়েকজন লোক নিয়ে ভেতরে ঢুকে হট্টগোল শুরু করেন।

এসময় এ.এস.আই মো. শাহাদিল মিয়াসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সেখানে হট্টগোল এবং ভিড় করতে নিষেধ করেন ও অন্যান্য রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় সমস্যা তৈরি হবে বলে বুঝিয়ে বলেন। কিন্তু পুলিশের কথা না শুনে বিবাদিরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং ফোন দিয়ে তাদের আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে এসে পুলিশের উপর চড়াও হন। এসময় এ.এস.আই মো. শাহাদিল কোতোয়ালি থানায় ফোন করে পুলিশ সাহায্য চান এবং অভিযুক্তদের ওয়ার্ডের ভেতরে রেখে গেট লাগিয়ে দেন। কিন্তু বিবাদিরা দ্বিতীয় দফা ফোন করে আরও কয়েকজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী ও দালালকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে সবাই মিলে ওয়ার্ডের গেট খুলে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালান এবং পুলিশ সদস্যরা গুরুতর আহত হন। পরে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর এ.এস.আই মো. শাহাদিল বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৬।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এস.আই মো. রেজাউল করিম জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে।

তিনি জানান, মামলা দায়েরের পরদিন (২১ ডিসেম্বর) ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে ১৯ নং আসামি জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখন জেলজহাজতে আছেন।

এবি টিভিতে সংবাদ প্রচার : নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে বিয়ানীবাজারের সেই কালভার্ট