বহুল আকাঙ্খিত বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের ঝড় উঠলেও ৭১ সদস্য বিশিষ্ট অনুমোদীত কমিটির তালিকা প্রকাশ পায় মধ্যরাতে! যদিও কোন চমক ছিল না- গত মাস দুই থেকে যে সব নাম লোকমূখে কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গিয়েছিল সেই সব নাম ছিল পদপদবীর তালিকায়।

 

ঘোষিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তাদের অধিকাংশ বিয়ানীবাজার উপজেলা ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এমন নেতাকর্মীদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মাসুদ হোসেন খান, সাবেক জিএস জুবের আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ, সাবেক গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক আমান উদ্দিন, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পাভেল মাহমুদ, সাবেক সদস্য কাওছার আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, সাগর দাস, আরবাব হোসেন খান, কামাল হোসেন, পলাশ আফজাল, ফয়ছল আহমদ, ইকবাল হোসেন তারেক, সাইদুল ইসলাম স্থান পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদে।

 

 

এতো নতুন মুখের ছড়াছড়ি থাকলেও সমালোচনাকারিদের মন্তব্য- নির্বাচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজস্ব বলয় থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে না পারায় কমিটিতে অনেক নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের স্থান দেয়া হয়েছে। এর ফলে সক্রিয় অনেকেই বাদ পড়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সাহাব উদ্দিন মৌলা, ইউপি চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম নিপু, বিলাল উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, সুহেল আহমদ রাশেদ, শাব্বির আহমদ বকশী, রফিকুল হক চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান তানু, জাহেদ আহমদ, তুতিউর রহমান তোতা, আব্দুল হাসিব খোকন, শাহজাহানুল ইসলাম লায়েক, বিভেকান্দন দাসসহ অনেকেই।

 

প্রকাশিত কমিটিতে একঝাঁক নতুন মুখ স্থান পেয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত কমিটির বিশাল একটি অংশ নতুন মুখ। একই সাথে উপজেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদের পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে ছিলেন তাদের বর্তমান কমিটিতে রাখা হয়নি। একই সাথে বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদেরও বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির উপর উষ্মা রয়েছে একটি অংশের। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলদের উপর উষ্মা প্রকাশ করেছেন বঞ্চিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলরা। সংগঠনের গঠনতন্ত্র বাদ না সাধলেও দায়িত্বশীলরা এক্ষেত্রে বাদ সাধায় স্থান হয়নি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে।

 

এছাড়া কয়েকটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেলেও লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিনকে রাখা হয়নি। সব মিলিয়ে একেবারে মন্দ হয়নি উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ঘোষিত কমিটি। তবে কয়েকটি নাম সংযোজন বিয়োজন হলে দীর্ঘদিন পর একটি গতিশীল ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য কমিটি পেত বিয়ানীবাজার উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আনারসের নগরী গোলাপগঞ্জ!