বিয়ানীবাজারে কোরবানির ঈদের পর নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে মাছবাজারে ইলিশসহ হিমায়িত বড় মাছের ব্যাপক সরবরাহ থাকায় দাম অনেকটাই কমেছে।
পৌরশহরের জুবেদ মার্কেটের মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১২০০-১৫০০ টাকা পিস। বড় ইলিশের পাশাপাশি দাম কমেছে ছোট ও মাঝারি সাইজের ইলিশের। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০০-১০০০ টাকা। এছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া রুই, পাঙ্গাস, কাতলা, গাসকার্প, তেলাপিয়াসহ বড়মাছ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ মাছ সবাই খেতে চায়। কিন্তু দাম অনেক বেশি থাকে। প্রতি বছরের তিনমাস আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এই সময়ে বড় সাইজের ইলিশ বাজারে পাওয়া যায়। ফলে ইলিশের মাছের সরবরাহ বাড়ায় এখন দামও কিছুটা কমেছে।
পৌরশহরের বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দোকানে ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, রসুন ১৭০ টাকা, আদা ১৮০ টাকা, ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জাতভেদে চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৮ টাকা এবং চিনিগুড়া চাল প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌরশহরের জুবেদ আলী মার্কেটের কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, জিঙা ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, ঢেড়শ ৩৫ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা ও লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সরবরাহ কম থাকায় মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। পৌর কিচেন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার (সাদা) মুরগির প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা এবং লাল মোরগ প্রতি পিস ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম প্রতি হালিতে ৫ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার ডিমের হালি ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।