বিয়ানীবাজার উপজেলার দক্ষিণ মাথিউরায় অবস্থিত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জালালিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত হিসেবে অনুমোদন লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক শোকরানা ও দোয়া মাহফিল করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ শোকরানা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব নুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক সাকেল বিলাল আহমদের পরিচালনায় শোকরানা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাথিউরা ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন, মাথিউরা সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আলীম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন রুনু, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল মনাফ, সদস্য আব্দুল মইন, স্থানীয় এলাকার মুরব্বী বুরহান উদ্দিন, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হামিদুর রহমান, শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, ময়নুল ইসলাম, তসলিম উদ্দিন, নজিবুর অহ্রমান, ফারুক আহমদ, কবির আহমদ, লোকমান আহমদ, হিফজুর রহমান, রফিক উদ্দিন, রিমা বেগম, শিউলি বেগম, হুমায়রা বেগম, শিমুল বেগম, নিলীমা ফেরদৌসী প্রমুখ।

মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব নুর উদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদের মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি গতানুগতিক শিক্ষা বিস্তারে আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসার ধারাবাহিক ফলাফল, শিক্ষার মান ও ছাত্রীদের শ্রেণী কার্যক্রমে উপস্থিতি সেটা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার জালালিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করেছে। এসময় তিনি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি ও স্থানীয় সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালে স্থানীয় এলাকার মেয়েদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে সমাজসেবী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা আব্দুর রহমান নিজামী এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছরই শতভাগ ফলাফল অর্জনের পাশাপাশি জিপিএ-৫ অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আসছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রী পড়াশুনা করছে। প্রতিষ্ঠানে ১৫জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন।