কলকাতার জি-বাংলা চ্যানেল এর জনপ্রিয় কমেডি রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল-১০ এর মঞ্চে প্রথমবার পারফরম্যান্স করেই নজর কেড়েছিলেন বাংলাদেশের ছেলে আবিদুল ইসলাম রিমন। এবার একের পর এক দুর্দান্ত পারফমেন্স করে চলমান মীরাক্কেল সিজন-১০ এ বেশ কয়েকবার রসিকরত্ন খেতাবসহ সিজন ১০ এ প্রথম বাংলাদেশী প্রতিযোগী হিসেবে জিতে নিয়েছেন পারফর্মার অব দ্য ডে।

মীরাক্কেলে বাংলাদেশের কমেডির নতুন সেনসেশন আবিদুল ইসলাম রিমনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে বন্দনা। অনেকে তার বলা জোকসের সাথে লিপসিং করে টিকটকে ভিডিও তৈরি করছেন। তবে প্রথম সিলেটি হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করে ঘরের ছেলে কমেডির সেরা মঞ্চ মীরাক্কেলে ১০ এ বাংলাদেশের হয়ে পারফর্ম করতে দেখে, রিমনকে নিয়ে একটু বেশী উচ্ছ্বসিত প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেট। এই উচ্ছ্বাসে বাদ যান নি প্রবাসে থাকা সিলেটের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। সম্প্রতি ফ্রান্সের বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারের সামনে রিমনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তার প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছেন এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। সিলেটি প্রবাসীদের এই উদ্যোগকে সাদুবাদ জানিয়েছেন মীরাক্কেল কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ পর্বে প্রবাসীদের সম্মান জানানোর এই দৃশ্যটি প্রচারিত হয়েছে, যা দেখেছেন দুই বাংলার কোটি কোটি দর্শক। শুধু ফ্রান্সের প্রবাসী বাংলাদেশীরাই নয়, আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসাই বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষজনও রিমনকে সাপোর্ট দিতে প্ল্যাকার্ড হাতে সমর্থন জানিয়েছেন।

ফ্রান্সে বসবাসরত সিলেটসহ বাংলাদেশী প্রবাসীদের এমন উদ্যোগে মুগ্ধ হয়েছেন কমেডিয়ান আবিদুল ইসলাম রিমনও। প্রবাসীদের প্রতি সম্মানের সাথে প্রকাশ করেছেন কৃতজ্ঞতাবোধ। আবিদুল ইসলাম রিমন বলেছেন, সবাই আমাকে সাপোর্ট করছে। আমাকে উৎসাহ দেবার জন্য জি বাংলাতে ভিডিও পাঠিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ প্রবাসী ভাইদের প্রতি। আপনাদের সমর্থন এবং ভালোবাসা আমাকে এগিয়ে যাবার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জি বাংলা ও টিম মীরাক্কেলকে।

স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান আবিদুল ইসলাম রিমনের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের নয়াগ্রাম গ্রামে। তিনি হাফিজ ফয়জুর রহমান ও হাজেরা বেগম দম্পতির পুত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে রিমন সবার ছোট। সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং বিভাগে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন রিমন। এর আগে তিনি ভারত সীমান্ত এলাকা নয়াগ্রাম প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম, পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।

রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল-১০ এ সুযোগ পাওয়া চার বাংলাদেশীদের মধ্যে একমাত্র সিলেটি প্রতিযোগী রিমন বলেন, মীরাক্কেল মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দুই বাংলার মন ভালোর কারণ হতে চাই।

রিমনের সামনে সে সুযোগ নিয়ে এসেছে জি-বাংলার মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্স সিজন ১০। তার সাফল্যের দিকে তাকিয়ে থাকবে পুরো বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’ পরিচালনা করছেন শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। আর অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কলকাতার জনপ্রিয় উপস্থাপন মীর আফসার আলী।

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বিয়ানীবাজারে বিপনী মার্কেটে অভিযান, ৫জনকে জরিমানা