এত কাছে তবু কত দূর! বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের ফাইনাল শেষে নিউজিল্যান্ডের অনুভূতি হয়তো এমনই! হৃদয় ভাঙা হারের বেদনায় দগ্ধ কিউইরা। যার জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন কি কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল? কারণ তার এক থ্রো’তেই বিশ্বকাপ শেষ নিউজিল্যান্ডের!

ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে যে বাজে থ্রো’টা করেছিলেন, তখনই বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের ছিটকে দিয়েছেন গাপটিল। তখন ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। বেন স্টোকস ডিপ মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নিলেন, দুই রান নেয়ার জন্য দৌড় দিলেন তিনি। এ সময় গাপটিল বল কুড়িয়ে রান আউটের জন্য যে থ্রো করেন, সেটার সঠিক গতিবেগ ছিল না। বল এসে লাগে স্টোকসের ব্যাটে এবং বলের গতি আরও পরিবর্তন হয়ে চলে গেলো বাউন্ডারির বাইরে। ছক্কা না মেরেও ৬ রান পেয়ে গেলো ইংল্যান্ড।

গাপটিল চেয়েছিলেন, সরাসরি থ্রো করে আউট করতে। কিন্তু সেটাই যে, শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াবে, কে ভাবতে পেরেছিল? ওই একট্রা বাউন্ডারিটা না হলে তো চার রানেই জিতে যেতে পারতো নিউজিল্যান্ড। সুপার ওভারও প্রয়োজন হতো না, শেষ মুহূর্তের ওই সাসপেন্সও তৈরি হতো না।

এরপর সুপার ওভারে ছক্কা মেরে আর কয়েকটা ডাবল-সিঙ্গেল নিয়ে জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ বলটা মোকাবিলা করলেন গাপটিল। অন্তিম মুহূর্তে আবারও ব্যর্থ। বিগ শট খেলতে পারলেন না। সিঙ্গেল নেয়ার রান ডাবল নিতে গিয়ে হলেন রানআউট, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো ইংল্যান্ড।

এমন এক ম্যাচের পর আক্ষেপে পুড়ছে পুরো নিউজিল্যান্ড দল। তবে গাপটিলের কষ্টটা ছিল আর দশজনের চেয়ে আলাদা। ভুলের অনুশোচনায় ক্ষতবিক্ষত এই ক্রিকেটার ম্যাচের পর মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও। কিন্তু এমন কষ্টে কি কোনো সান্ত্বনায় কাজ হয়?