করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ ছাড়াই বিয়ানীবাজার উপজেলায় এক নারীসহ পাঁচজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র করোনা সংক্রমিত এলাকা থেকে আসায় এবং করোনা আক্রানের সংস্পর্শের থাকার কারণে তাদের শরীরে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। বুধবার (৬ মে) বিকালে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত বিয়ানীবাজারের ৫জন করোনা রোগী বিশেষায়িত হাসপাতালের পাশাপাশি নিজ বাড়িতেও চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

আক্রান্তরা হলেন- বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার নয়াগ্রামের আকবর হোসেন (টাঙ্গাইল ফেরত), দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামের আলম হোসেন (১ম রোগীর সংস্পর্শে আসা), নয়াগ্রামের তাসলিমা আক্তার (১ম রোগীর সংস্পর্শে আসা), মোল্লাপুরের সাইদুল ইসলাম (গাজীপুর ফেরত) ও পৌর এলাকার কসবা গ্রামের নাসির আহমদ (কিশোরগঞ্জ ফেরত)। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত  আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় করোনা রোগী আকবর হোসেন ও আলম হোসেন সিলেট শহীদ সৈয়দ সামসুদ্দিন হাসপাতালে স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের দুজনের শারীরিক অবস্থা অনেক ভালো। নিয়মিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি মোবাইলের মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে তাদের। পৌর এলাকার নয়াগ্রামের তাসলিমা আক্তার প্রথম রোগীর সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাকে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শরীরে সামান্য জ্বর রয়েছে। তাকে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পৌরসভার কসবা গ্রামের কিশোরগঞ্জ ফেরত অপর রোগী নাসির আহমদও নিজ বাড়িতে সঙ্গনিরোধ রয়েছেন। তার শরীরেও করোনার উপসর্গ নেই। দুই-তিন দিন পর আবারও তার নমুনা নেয়া হবে বলে জানা গেছে। গাজীপুর ফেরত বিয়ানীবাজারের মোল্লাপুর গ্রামের আরেক হচ্ছেন করোনা রোগী সাইদুল ইসলাম। করোনা শনাক্তের পূর্বে থেকেই তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। উপসর্গ ছাড়াই তার শরীরে করোনা পজেটিভ হওয়ায় তিনি এখনও হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

এদিকে, বিয়ানীবাজারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন পর্যন্ত ৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এর মধ্যে মধ্যে ৭০জনের নমুনা ‘নেগেটিভ’ ও ৫জনের নমুনা ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ রয়েছেন উপজেলার আরো ৮ জন। তবে এদিন নতুন কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার নতুন শনাক্ত তিন রোগীর সংস্পর্শে আসাদের নমুনা পর্যায়ক্রমে সংগ্রহ করবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষ টিম।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ বলেন, বিয়ানীবাজারে করোনা পজেটিভ ৫জনের শরীরে কোন উপসর্গ ছিল না। কেবলমাত্র বিয়ানীবাজার উপজেলার বাইরে থেকে আসায় ৩জন এবং প্রথম রোগীর সংস্পর্শে থাকা আরও দুজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯১জন সন্দেহভাজন। আর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরও ২জন। তবে বুধবার পর্যন্ত উপজেলা থেকে কোন নতুন নমুনা ল্যাবে প্রেরণ করা হয়নি।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-