বিয়ানীবাজার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসন্ন। অনেকেই তৃতীয় ধাপে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা অপেক্ষা থাকলেও বিয়ানীবাজারে ইউপি নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর মাসে হতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়নে বাজছে নির্বাচনের ডামাঢোল।

বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের দায়িত্বশীল নেতাদের হুট করে কদর বেড়েছে। মাত্র মাস খানেক আগেও সংগঠনের তৃণমূল নেতারা উপেক্ষার পাত্র ছিলেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বর্ধিত সভার সিদ্ধান্তের পর প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন আসে। প্রায় পাঁচ বছর অনেকটা অনাদরে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদবীদারিদের সমীহ করছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা! সুযোগবুঝে তৃণমূলের দায়িত্বশীলরা সমীহের জবাব দিচ্ছেন তাদের মতো করে।

কোন কোন ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ এতোটাই বেড়েছে- তৃণমূল ভোটাররা এতে কিছুটা হলেও বিরক্ত প্রকাশ করেন। রাত-দুপুর কিংবা ভোরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আসা যাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্মও অনেকেই করতে পারছেন না। তার উপর রয়েছে মুঠোফোন যন্ত্রণা। আবার অনেকেই আত্মীয়, স্বজন ও পরিচিতদের মাধ্যমে তদবীর করছেন।

৯নং মোল্লাপুর ইউনিয়নের তৃণমূলের এক দায়িত্বশীল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার কাছে প্রতিদিন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোট চাইতে আসছেন। সবাইকে সময় দিচ্ছি, তাদের কথা শোনতেছি। এই পর্যন্ত সব ঠিকটাক আছে। তবে কিছু কিছু প্রার্থী আমার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তদবীর করছেন। দেশ বিদেশ থেকে কল দিচ্ছেন- এসব বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, দলের সম্ভাব্য সকল প্রার্থীদের ভোটাররা (কাউন্সিলর) চেনেন।

মাথিউরা ইউনিয়ন তৃণমূলের এক দায়িত্বশীল বলেন, আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের চর্চা আছে বলেই আমাদের মূল্যায়ন আছে। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মূল্যায়নে আমাদের কাহিল অবস্থা। ব্যস্ততার মধ্যে প্রার্থীদের সময় দিচ্ছি, তাদের কথা শোনছি। তিনি বলেন, সব কিছুতে একটা ‘লিমিট‘ থাকা দরকার।

মুড়িয়া ইউনিয়নের তৃণমূলের আরেক দায়িত্বশীল বলেন, তৃণমূলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণ করলে দলেরই উপকার হয়। দলের প্রার্থী যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাহলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কদর আরেক ধাপ বাড়বে।

এদিকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলরাও প্রস্তুতি শুরু করেছেন। গত শনিবার সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর বর্ধিত সভায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে জেলার দায়িত্বশীলরা উপস্থিত থাকবেন।