এ বছর মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের গতি-প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য ১৯৮৭, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ওই তিন বছরই বাংলাদেশে বড় ধরণের বন্যা হয়েছে। তাই এ বছরও বড় বন্যার আশংকা করা হচ্ছে বলে দেশের শীর্ষ একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যার প্রভাবে দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরপাড়ের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দীর্ঘ প্রায় ৪ মাসের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গত সপ্তাহ থেকে পুনরায় পানি বাড়তে থাকে। কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি স্থান আবারও নিমজ্জিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনের হাকালুকি হাওরের পূর্বাঞ্চল উপজেলার সুজানগর, বর্ণি ও তালিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তায় আবারও বন্যার পানি উঠতে দেখা গেছে। এসব এলাকা প্রায় ৪ মাস পানিতে নিমজ্জিত ছিলো। গত ৩০ জুলাই থেকে বন্যার উন্নতি হওয়ায় কিছু এলাকায় বন্যার পানি সরতে থাকে। কিন্তু ১০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে।

জানা গেছে, ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ভারী বর্ষণে সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে। সেসব এলাকার বন্যার পানি সুরমা, কুশিয়ারা ও সোনাই নদী হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গত কয়েক দিন ধরে এসব নদী দিয়ে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন শাখা ও প্রশাখা নদীর মাধ্যমে ভারতের বন্যার পানি হাকালুকি হাওরে প্রবেশ করছে। ফলে জেলার প্রধান তিনটি হাওরসহ জেলার পাঁচ উপজেলায় ফের বন্যার অবনতি ঘটার আশংকা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিসুর রহমান জানান, জেলার মনুনদী, কুশিয়ারা নদী দিয়ে বিপদসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হয়। তবে আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।