করোনাভাইরাসে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। এমনিতেই বিয়ানীবাজার উপজেলার দুগ্ধ খামারিরা পড়েছেন বিপাকে অন্যদিকে বেড়েছে গরু চুরি। সম্প্রতি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গরু চোরদের দৌরাত্ম্য আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকাজুড়ে গরু চোরের উৎপাতে নির্ঘুম রাত পার করছে এলাকাবাসী। গত সোমবার রাতে ইউনিয়নের রজাকপুর থেকে দুটি এবং পরের রাতে চন্দরপুর গ্রামের কৃষক আপ্তার আলীর হালের বলদ চুরি হয়ে যায়।

আপ্তার আলী জানান, তিনি প্রতিরাতের মত সেই রাতেও তার গরুগুলো পাহারা দিচ্ছিলেন। ভোররাতে ঘুমিয়ে পড়লে একসময় তার গরু চুরি হয়ে যায়। ফজরের নামাজ পড়তে উঠার পর গোয়ালঘরে গরু দেখতে না পেয়ে তিনি খুঁজতে থাকেন। তার গোয়াল থেকে ওই রাতে তিনটি গরু চুরি গেলেও দুটি গরু সকালে পেয়ে যান। তবে লাল রঙের ছোট শিঙয়ের বলদ আর খুঁজে পাননি। এটা তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ গ্রামের সবাইকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিবারের মত এবারও গরু চুরি শুরু হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে তারা এবারও আতঙ্কে ভুগছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আলীনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. গৌছ উদ্দিন জানান, গতবছর আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রামে-গ্রামে ভ্রাম্যমাণ পাহারার ব্যবস্থা করেছিলাম। ইউপি চেয়ারম্যান, সকল ইউপি সদস্যসহ এলাকার তরুণ-যুবারা সেই ভ্রাম্যমাণ পাহারায় যুক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তবু ঠেকানো যাচ্ছে না এই গরু চুরি। এবারও অনুরূপ কিংবা আর কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।