চলমান লকডাউনে যখন দেশের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য নানামূখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। সিলেটে করোনার বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। এতে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। সেই সুযোগটা ভালোই কাজে লাগাচ্ছেন বিয়ানীবাজার উপজেলার বিএনপি নেতা আলিম উদ্দিন।

লকডাউনের কারণে বিয়ানীবাজার উপজেলার থানাবাজারে বন্ধ রয়েছে ২৫টিরও বেশি ফার্ণিচার দোকান। এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সেখানকার কয়েক’শ শ্রমিক৷ তাদের এই কর্মহীনতার সুযোগে অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ৫০জনেরও অধিক শ্রমিক দিয়ে
কালাইউরা গ্রামে তার খরিদা বাড়িতে চলছে বিশাল কাঠের কারখানা। এতে এদিকে যেমন শ্রমিকদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পরার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে আতংকে রয়েছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলিম উদ্দিনের অবৈধ কাঠের সকল কার্যক্রম চলে কালাইউরা গ্রামের এই বাড়িতে। অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে সেগুন কাঠ এনে রাখা হয় এখানে। আবার চাহিদা মত সুবিধাজনক সময়ে সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় এসব কাঠ সরবরাহ করেন তিনি। তার বিশাল এই সাম্রাজ্য রক্ষায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্য পৌরশহরসহ আশপাশ এলাকায় রয়েছেন তার বিশেষ প্রতিনিধি। বর্তমানে পরিস্থিতিতে আইন ভঙ্গকরে ৫০ জনের অধিক শ্রমিক নিয়ে কাজ করানোর তথ্য স্থানীয়রা প্রশাসনকে বারবার অবহিত করলেও প্রশাসন এখনো কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড অফিসের অনুমতি নিয়ে কাজ করার কথা বলেন আলিম উদ্দিন।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নিজ বাড়ির কারখানায় কয়েকজন কাজ করছে জানালেও কোন অবৈধ ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। আলিম উদ্দিন জানান, নিজ বাড়িতে কাজ করছি, এতে সমস্যা হওয়ার কথা না।

তবে আলিম উদ্দিনের এম বেপরোয়া আচরণে আতংকিত সাধারণ মানুষ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব বলেন, এসিল্যান্ড ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-