৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সবাই যখন রাজশাহী জয় দেখছে ক্রিজে এসে সেই সমীকরণ পাল্টে দিলেন আরিফুল হক। জিততে হলে শেষ ১৮ বলে ৩৬ রানের প্রয়োজন খুলনার। আরিফুল ১৯ বলে তুলে নিলেন ৪২ রান। প্রথম ঝড়টা যায় আলি হোসেনের উপর দিয়ে। তার করা ইনিংসের ১৮তম ওভারে ১ ছয় ও ২ চারের সাহায্যে তুলে নেন ১৮ রান। শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ১৮ রানের। স্টাইকে থাকা আরিফুল সামি করা ওই ওভারে ৯ রান তুলেন। শেষ ওভার করার জন্য অধিনায়ক ড্যারেন সামি বল তুলে দেন স্মিথের হাতে। আরিফুল প্রথম বলেই ছয় হাকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। স্মিথের করার দ্বিতীয় বলে ফাইন লিগ অঞ্চল দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। বল চার হওয়ার আগেই জয় উদযাপন করেন আফগানিস্তানের এ ব্যাটসম্যান।
এর আগে রাজশাহী দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ অর্ধশতকে বাল জবাব দিচ্ছিল খুলনা। শেস দিকে এসে মাহমুদুল্লাহ, আফিফ, বার্থওয়েট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। শেষ তিন ওভারে ৩৬ রানের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। হাতে ছিল ২ উইকেট। অসাধারণ ব্যাটিং করে আরিফুল হক খুলনাকে হেরে যাওয়া ম্যাচে অকল্পনীয় জয় এনে দেন।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্মিথ ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরীতে ১৬৬ রানের পুজি সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস।

মঙ্গলবার বিপিএল ঢাকা পর্বের শেষ দিনে দুপুরের ম্যাচে টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন ডোয়াইন স্মিথ ও মুমিনুল হক। তবে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেননি তারা। দলীয় ৬ রানে ফিরে যান মুমিনুল। এ রানেই সাজঘরে ফেরেন বেল ড্রুমন্ড। আর দলীয় ২১ রানে জাকির হাসান ফিরলে চাপে পড়ে ড্যারেন স্যামির দল।

এরপর ডোয়াইন স্মিথ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। দলীয় ৯৭ রানে ফেরেন স্মিথ। তার আগে খুলনা বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ৩৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ রানের ঝদো ইনিংস খেলেন তিনি।

ক্যারিবীয় ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। দলীয় ১৪১ রানে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

তখনো বড় স্কোর গড়ার পথে ছিল রাজশাহী। তবে শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৬৬ রানে থামে তাদের ইনিংস। ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। খুলনার হয়ে জুনায়েদ খান ৪টি ও আবু জায়েদ নেন ২টি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৮৫ রান তুলে খুলনা। কিন্তু এর পর দিকভ্রান্ত ব্যাটিংয়ে হারের শংকা জাগে খুলনার দর্শকদের মধ্যে। মাত্র ৪৫ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে খুলনা। সেখান থেকে দল জয় এনে দেয় আরিফুলের হ্যারিকেন ইনিংস। এ ইনিংসের সুবাদে দিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার অর্জন করেন। মাহমুদুল্লার ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৫৬ রান।