‘পুরুষ ও ছেলেদের স্বাতন্ত্র্য’ প্রতিপাদ্য এবারের আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর দুইটায় জেলা পরিষদের সামনে বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে পুরুষ নির্যাতন দমন আইনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, নির্যাতন ও যৌতুকের মামলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ঘরে-বাইরে পুরুষদের নির্যাতন করা হচ্ছে। পুরুষদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দেয়ার মতো আইন না থাকায় দিন দিন পুরুষ নির্যাতন বাড়ছে। পুরুষরা ঘরে ও বাইরে নির্যাতনের শিকার হলেও আত্মসম্মানের ভয়ে কিছু প্রকাশ করতে পারেন না। আবার নারী নির্যাতনের ন্যায় পুরুষ নির্যাতন আইন না থাকায় নিজের সুরক্ষায় আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছেন না। আর এ সুযোগটিই ব্যবহার করছেন নারীরা।

নারী নির্যাতনের বিরোধিতা করে বক্তারা বলেন, আমরা পুরুষ নির্যাতন বন্ধের দাবি তুলছি, এর মানে এই নয় যে, আমরা নারী নির্যাতনকে সমর্থন করি। তবে পরকীয়াজনিত কারণ ও অবাধ্য স্ত্রীকে শাসন করতে গেলেই স্বামীর বিরুদ্ধে যেসব স্ত্রী মিথ্যা নির্যাতন এবং যৌতুকের মামলা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরকীয়া বন্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারার সংশোধনের দাবি জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তা হলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে, যার শাস্তি সাত বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড।

মানববন্ধনে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালন করা হয় দিবসটি। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি। বাংলাদেশেও দিবসটি ছোট পরিসরে পালিত হয়।

তথ্যসূত্র- সিলেট ভয়েজ।