শক্তিমান কথাশিল্পী আকাদ্দস সিরাজুল ইসলাম সমাজের প্রতি সত্যিকারভাবে দায়বদ্ধ ছিলেন। দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে এবং তার লেখায় ফুটে উঠেছে বঞ্চিত মানুষের কথা। তিনি ছিলেন একজন সংগ্রামী মানুষ। আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের জীবন ছিল ঘটনা বহুল। সাহিত্য সংস্কৃতি, সমাজসেবাকে ভালোবেসে আকাদ্দস সিরাজুল ইসলাম সরকারি চাকুরিতে না গিয়ে গ্রামে থেকে গেলেন। সাহিত্য চর্চা ছাড়াও তিনি নানা ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তাঞ্চল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্তবাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কথাশিল্পী আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ মেট্টোপলিটন ল’ কলেজ ভবন মিলনায়তনে গত শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মোবাইল পাঠাগার ৬৫৩তম সাহিত্য আসরে সভাপতিত্ব করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক-লেখক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন ও মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এডভোকেট মো. আব্দুল মালিক। আলোচনায় অংশ নেন, মুক্তিযোদ্ধা এম, আলী ইসমাইল, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, সংগঠক সাহিত্যমোদী সালেহ আহমদ খসরু, লেখক গবেষক মো: ফযজুর রহমান, অধ্যাপক মো: শামীম আহমদ। পঠিত লেখা নিয়ে আলোচনা করেন ছড়াকার কামরুল আলম, লিটলম্যাগ পলিমাটি সম্পাদক কবি বাশিরুল আমীন ও কবি মাহফুজ জোহা। আলোচনা সভায় অনুভুতি ব্যক্ত করেন, কথাশিল্পী আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের পুত্র লেখক সাংবাদিক খালেদ সাইফুদ্দিন জাপরী ও নাতী লোকন লিটলম্যাগ সম্পাদক ওয়ালি মাহমুদ।

সাহিত্যকর্মী তাসলিমা খানম বীথি’র উপস্থাপনায় কামাল আহমদ’র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সাহিত্য আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন, এডভোকেট শাহ আলম মহিউদ্দিন, সিরাজুল হক, মোহাম্মদ আব্দুল হক, আহমদ সোহেল, শামসীর হারুনূর রশীদ, জয়নাল আবেদিন বেগ, আমীর হোসাইনী, মুয়াজ বীন এনাম, মাহবুব এ রহমান, মো: আব্দুস সামাদ। পাঠচক্রে সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলী থেকে পাঠ ও আলোচনা করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন গীতিকার বাহা উদ্দিন বাহার।