আজ বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও স্থপতি নাট্যকার, স্থপতি, ভ্রমন সাহিত্যিক শাকুর মজিদের জন্মদিন। বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত এ লেখকের ৫৪তম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর স্বজনরা প্রথম প্রহরে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন। এ উপলক্ষে মধ্যরাতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয় লেখক-বন্ধু-স্বজন আড্ডা।

অনানুষ্ঠানিক এ আড্ডার মাধ্যমে শাকুর মজিদকে ফুল দিয়ে, কেক কেটে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর প্রিয়জনরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্ত্রী অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি এবং কলেজ পড়ুয়া দু’পুত্র ইশমাম ও ইবন মিলে বাসায় পারিবারিক আয়োজনে শাকুর মজিদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

কর্মজীবনে শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি হলেও লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতার খেতাব তাঁর ঝুঁলিতে রয়েছে। অসংখ্যগুণের অধিকারী শাকুর মজিদ ভ্রমণ সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় এবার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পাওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম জন্মদিন হওয়ায় প্রিয়জনদের মধ্যে অন্যরকম উৎসাহ বিরাজ করে।

বুধবার শাকুর মজিদের জন্মদিনের স্বজন আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিটিভির সাবেক উপ মহাপরিচালক খ.ম হারুন, বিশিষ্ট যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, জিটিভি’র প্রধান সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিশ্লেষক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, লেখক মইনুল আহসান সাবের, কবি মারুফুল ইসলাম, অন্যপ্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, দৈনিক সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা’র ডেপুটি এডিটর কথাসাহিত্যিক পলাশ মাহবুব, পাঞ্জেরী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী কামরুল হাসান সায়ক, সিরাজুল কবীর কমল, সমকালের ফিচার এডিটার মাহবুব আজিজ, লেখক স্বকৃত নোমান, কবি শিমুল সালাহ উদ্দিন, রম্য লেখক আহসান কবীর, নাট্যনির্দেশক অনন্ত হিরা ও আহমদ গিয়াস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের ২২ নভেম্বর বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা দোয়াখাঁ গ্রামে শাকুর মজিদ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল মজিদ ও মাতার নাম ফরিদা খাতুন। তিন ভাই ও দু’বোনের মধ্যে শাকুর মজিদ সবার বড়।