বিয়ানীবাজার উপজেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল দক্ষিণ পাহাড়িয়া বহর। প্রান্তিক জনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় রয়েছে গুচ্ছগ্রাম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বাসস্থানের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা এ অঞ্চলকে অগ্রসর করার লক্ষে আমাদের এই জনপদের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গ্রহণ করা হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।

এরমধ্যে শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু কাজ শুরু হয়েছে; গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়িয়া বহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামক একটি আলোর পাঠশালা। স্বপ্নের এ বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের ভূমিগ্রহণ সম্পন্ন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাগজাদি পাঠানো হয়েছে। পুরো এই প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত আন্তরিকতা, মেধা ও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আরিফুর রহমান। সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসার প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য এবং দূরদর্শী চিন্তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

সোমবার বিকালে কাজী আরিফুর রহমানের সঙ্গে পরিদর্শনে যাই পাহাড়িয়া বহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থান। সেখানে একান্ত আলাপচারিতায় উপজেলার শিক্ষা এবং কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে তাঁর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং পরিকল্পনার কথা বলেন।

জানতে পারি- শিক্ষামন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার আরেকটি ফসল আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অগ্রগতির কথা। অফিসার হিসেবে প্রশাসনে দায়িত্বশীল ভূমিকার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে তৃণমূল মানুষের সঙ্গে কাজী আরিফুর রহমানের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। খুব সহজেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে তিনি আপন নিতে পারেন; মিশতে পারেন সাধারণের মাঝে অসাধারণ গুণাবলী নিয়ে। কেবল একজন সুযোগ্য অফিসার নয় লেখালেখির সঙ্গে তাঁর রয়েছে দীর্ঘদিনের সখ্যতা। বিশেষ করে সমকালীন শিক্ষা বিষয়ক লেখনিতে তিনি বেশ পারদর্শী। বহুমাত্রিক চিন্তার এ আলোকজন আশা করি- জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্যে দিয়ে তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের পথে একধাপ এগিয়ে যাবেন।
জয় হোক মনন ও সৃজনের; জয় হোক মানবিকপ্রেম ও মূল্যবোধের।

লেখক : সাংবাদিক ও সংগঠক।