টানা বর্ষন ও উজানি ঢলে দিন দিন অবস্থা অবনতি ঘটছে বিয়ানীবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির। ইতোমধ্যে এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। ডুবে গেছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। বাদ যায়নি পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন সাবস্টেশন, বৈদ্যুতিক খাম্বা। কোথাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বশীলদের। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে বিদ্যু সরবরাহ।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে উপজেলার আলীনগর, চারখাই, শেওলা ও দুবাগ ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকায় এ বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন পল্লী বিদ্যুতের বিয়ানীবাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মন।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে শেওলা সাবস্টেশন বন্যার পানিতে প্লাবিত হলে জনমানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সাবস্টেশনের আওতায় থাকা আলীনগর, চারখাই, শেওলা ও দুবাগ ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাাহ বন্ধ রাখা হবে।

ঝুকিপূর্ণ এসব এলাকায় ইতিমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য রাতভর কাজ চলমান রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলে ১৯ মে থেকে এসব এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি। আর অবনতি ঘটলে এই পাঁচ ইউনিয়নসহ অন্যান্য কবলিত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা লাগতে পারে।

কোথাও পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা, সংযোগ তারস ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সাথে সাথে সেটা যেনো পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসকে অবগত করার জন্য সাধারণ গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানান ডিজিএম ভজন কুমার বর্মন।