বিয়ানীবাজার পৌরবাসী বানরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পৌরবাসী না পারছেন বানর তাড়িয়ে দিতে, না পারছেন বানরের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে। এই উপদ্রব থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ক্রমশ বাড়ছে উপদ্রব। শিশু-তরুণ-যুবক ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে হামলার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। হঠাৎ দলবদ্ধ হয়ে খাবারের জন্য ছোটে বানর। বাসা-বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্রও ভাঙচুর করছে।

রবিবার সকালে বানরের আক্রণের শিকার হয় উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজানুল ইসলাম লায়েকের পুত্র শিশু তাহমিদ (৫)। পরে পরিবারের সহায়তায় সহায়হতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান।

পৌর এলাকার সুপাতলার বাসিন্দা ওলিউর ররহমান জানান, আগে কিছু বানর দেখা যেত, উৎপাত করতো না তেমন। আগে বানরের খাবারের অভাব ছিলনা, কিন্তু এখন খাবারের সন্ধানে তার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। দলবদ্ধভাবে আক্রমণও করছে। কেউ বাজার থেকে কিছু নিয়ে যাচ্ছেন, পথে আক্রমণ করে বসে। রাস্তা পারাপার হয় কোনো দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে। নারী-শিশুরা তটস্থ ওদের ভয়ে।

জানা যায়, পৌরশহরের সুপাতলা, নিদনপুর, পন্ডিতপাড়া, নয়াগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় আছে বানরের অবাধ বিচরণ। এক্সময় বানরের সংখ্যা বেশি থাকলেও বাসাবাড়িতে আক্রমণের ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বন জঙ্গলে খাবারের উৎস কমে যাওয়ায় বানরেরা হানা দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী বাসা বাড়িতে। বানরেরা হানা দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল, হাড়ি-পাতিল, মুরগির বাচ্ছা, বিড়াল ছানা ছিনিয়ের পাশাপাশি আক্রমণ করছে নারী ও শিশুদের উপর।

শাহজানুল ইসলাম লায়েক অভিযোগ করে বলেন, বানরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে কয়েকবার পৌর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও লোকালয় থেকে বানর তাড়াতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তিনি বানরের উত্পাৎ থেকে রক্ষা পেতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বনবিভাগের পাশাপাশি সকলকে সোচ্চার ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।