৭৪ পেরিয়ে ৭৫ বছরে পা রাখলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গৌরবের এ পথচলায় কমিটি না থাকায় বিয়ানীবাজারে বিবদমান গ্রুপগুলো পৃথক আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। তবে গ্রুপভিত্তিক ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাবার্ষিকীর কর্মসূচি ছিল বর্ণাঢ্য। তবে বর্নাঢ্য এসব আয়োজনের মধ্যেও কমিটি নিয়ে একত্রে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আক্ষেপ ফুটে উঠেছিল ছিল সকল নেতাকর্মীদের চোখে-মুখে।
দুপুর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা সাথে করে বাদ্যযন্ত্রের সুরে সুরে পৌরশহরের বর্নাঢ্য র্যালি-শোভাযাত্রা করেছ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সব গ্রুপ। এসময় নেতাকর্মীরা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পৌরশহর। শ্লোগানে শ্লোগানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন তারা। এমনকি শেখ হাসিনা সরকারের হাতকে শক্তিশালি করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করা হয়। পরে সবকটি গ্রুপ পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা ও আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
এদিকে, প্রায় ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমিটি না থাকায় বিয়ানীবাজার উপজেলার ছাত্রনেতারা পদহীন থেকেই রাজনীতি করছেন। কমিটিহীন হওয়ায় দিন দিন গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত হচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো বড় উৎসবেও একত্রিত হতে পারছেন না তারা। বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠনের এ পরিস্থিতি নেতৃত্ব বিকাশের অন্তরায় বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে সর্বশেষ বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমান বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন ছিলেন ওই কমিটির আহ্বায়ক। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বর্তমানে ফ্রান্স প্রবাসী।
নেতাকর্মীরা জানান, ২০১২ সালে তৎকালীন সিলেট জেলা ছাত্রলীগ এই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করলেও নতুন কমিটির দেখা মেলেনি। ফলে অভিভাবকহীন হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মেধাবীরা ছাত্রলীগের পরিচয় না পেয়ে অভিমানে রাজনীতি থেকে অনেকে দূরে সরে গেছেন। আবার অনেকে রাজনীতির বাইরে থাকলেও ‘অন্যতম ছাত্রনেতা’ পদবি ব্যবহার করে নিজেদের ছাত্র রাজনীতিতে জিইয়ে রেখেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আজাদ জিসান বলেন, কমিটি না থাকায় বর্তমান সুসময়েও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ছাত্রত্ব শেষ করে রাজপথের নেতাকর্মীদের অন্যতম ছাত্রনেতা হিসাবে বিদায় নিতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য চরম হতাশার একটি বিষয়। তবে কেন্দ্র ও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শীঘ্রই বিয়ানীবাজারের দিকে সুনজর দিবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।