প্রচারণার মধ্য সময় পর্যন্ত ছিল দুর্যোগের ঘনঘটা। আকাশে ছেয়ে গিয়েছিলো কালো মেঘে। হতাশায় নূয়ে পড়া কর্মীদের শেষ চেষ্টাও যাচ্ছে বিফলে! সব করেও কোনভাবে কিছুই হচ্ছে না। এভাবে শেষ হলো ২০২৩ সালে শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। তারপর…

নতুন বছরের শুরুর দিন থেকে তারুণ্যের উম্মাদনা আর প্রতিপক্ষের তীর্যক মন্তব্যে পাল্টে যেতে থাকলো ভোটের মাঠের চিত্র। এর মধ্যে নাহিদ বের করলেন তার শেষ অস্ত্র। ‘এটি আমার শেষ নির্বাচন, এরপর আমি আর নির্বাচন করবো না। তবে দলের সাথে থাকবো। নেত্রী যেখানে যে দায়িত্ব দেন সেটি পালন করবো। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আজীবন থাকতে চাই।’

২ জানুয়ারি থেকে উঠান বৈঠক ও ছোট ছোট সভায় তাঁর এ বক্তব্যে ঠনক নড়ে কর্মীদের। যে এলাকায় বক্তব্য দেন সেখানকার মানুষজন শেষ বয়সে যাতে অসম্মানিত না হন সেদিকে যেন সবার মনপ্রাণ। ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে লাগলো মাঠের চিত্র। নৌকার পালে উত্তরের হাওয়া উত্তাল হতে শুরু করলো। এরপর বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে তাঁর নৌকার প্রতীকের শেষ নির্বাচনী সভায় তিনি একই বক্তব্য রাখলেন। দিলেন আগামী পাঁচ বছর শুধুই রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করবেন এমন প্রতিশ্রুতি!

প্রত্যাশার চেয়ে গোলাপগঞ্জবাসীর কাছে বেশি পেয়ে গেলেন ৪ জানুয়ারি। পৌরশহরের চৌমোহনীতে জনসমুদ্র দেখে নাহিদ নিজের উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্বভাব বিরোদ্ধভাবে বলে ফেললেন ‘গেইম ইজ ওভার, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের জনস্রোত প্রমাণ করে খেলা শেষ, খেলা শেষ…’।

রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গেইম ইজ ওভার’ ভাইরাল হয়ে গেলো। কর্মীরা এ শব্দটি পুরানের বাক্যের মতো লুফে নিলেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজেও ফেসবুকের স্ট্যাটাস রাখলেন …গেইম ইজ ওভার।

তিন শব্দের এ বাক্যের শক্তিতে ভোটের মাঠে সৃষ্টি করলো নব জোয়ার। সে জোয়ারে ভাসলো নৌকা। নাহিদ তাঁর শেষ নির্বাচনে হাসলেন বিজয়ের শেষ হাসি।